মাঠে ধারাবাহিকভাবে জয়ের পথে থাকা কাতার শুক্রবার প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ হাতে পায়। উপসাগরীয় অঞ্চলের এ ক্ষুদ্র ও অতি ধনী দেশটিকে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে ফিফা।
জাপান পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জয়ের জন্য এবার এশিয়ান কাপে এসেছিল। অন্যদিকে কাতার আগে কখনও সেমিফাইনালই খেলতে পারেনি। কিন্তু ফিফা র্যাংকিংয়ে ৯৩ নম্বরে থাকা কাতার ৫০ নম্বরের দেশ জাপানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফুটবলে প্রথমবারের মতো বড় কোনো শিরোপার স্বাদ নেয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পুরো সময় জুড়ে শক্তিশালী আক্রমণাত্মক ফুটবলের প্রদর্শনী দেখা গেছে কাতারের কাছ থেকে। প্রতিপক্ষের জালে ১৯ বার বল জড়ালেও নিজেরা গোল খেয়েছে মাত্র একটি। আর সাত ম্যাচের সবগুলোতে পেয়েছে জয়ের দেখা।
আবুধাবির জায়েদ স্পোর্টস সিটির ফাইনাল ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ১২তম মিনিটে দুঃসাহসী এক ওভারহেড কিকে কাতারের গোলের সূচনা করেন আলমোইজ আলি। আর এর মাধ্যমে তিনি এশিয়ান কাপের এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ নয় গোল করার রেকর্ড নিজের করে নেন। ১৯৯৬ সালে আট গোল করা ইরানের আলি দায়েই এতদিন ছিলেন এ অর্জনের মালিক।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে এক বাঁকানো শটে কাতারের লিড দ্বিগুণ করেন আবদুল আজিজ হাতেম।
তাকোমি মিনামিও ৬৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষ কাতারের জালে বল জড়ান। এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম গোল খায় কাতার। ৮৩তম মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে কাতারকে আবারও এগিয়ে নেন আকরাম আফিফ।