দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর পাঁচ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয় শিবিরের ভিত নাড়িয়ে দেন সাকিব। অধিনায়কের এমন নেতৃত্বের পাশাপাশি মিরাজ, মুস্তাফিজ, আবু হায়দার ও মাহদুল্লাহর যোগ্য বোলিং প্রতিরোধের মুখে পড়ে ১৯.২ ওভারে ১৭৫ রান তুলে অল আউট হয় সফরকারীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ক্যারিবীয়ান অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। লিটনের ঝড়ো অর্ধশতকের পর সাকিব ও মাহমুদুল্লার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ২১১ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে ফর্ম ফিরে পাওয়া লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৪টি ছয় এবং ৬টি চারের মারে ৩৪ বলে ৬০ রান করা লিটনকে ফেরান কটরেল।
তবে মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে সৌম্য, লিটন ও মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ায় আবারও নড়বড়ে হতে বসেছিল বাংলাদেশের ইনিংস। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২১১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় স্বাগতিকরা। সাকিব- মাহমুদউল্লাহর অবিচ্ছেদ্য জুটিতে আসে ৪২ বলে ৯১ রান।
শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ৪৩ আর সাকিব ২৬ বলে ৪২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।
ওপেনার তামিম ১৫ বলে ১৫ করে ফিরে যাওয়ার পর লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন সৌম্য সরকার। করেন ২২ বলে ৩২ রান। কিন্তু কটরেলের বলকে উড়িয়ে মারতে যেতে ক্যারিবীয় অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরতে হয় তাকে।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করা বাংলাদেশ প্রথম টি-২০ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের কাছে পাত্তাই পায়নি। সিলেটে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে বড় টার্গেট দিতে পারেনি টাইগাররা। ফলে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ২১১/৪ (তামিম ১৫, লিটন ৬০, সৌম্য ৩২, সাকিব ৪২*, মাহমুদউল্লাহ ৪৩*; কটরেল ২/৩৮, টমাস ১/৪৩ ও অ্যালেন ১/২৯)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.২ ওভারে ১৭৫ (হোপ ৩৬, পুরান ১৪, হেটমায়ার ১৯, পাওয়েল ৫০, পল ২৯; সাকিব ৫/২১, মিরাজ ১/২৩, মুস্তাফিজ ২/৫০, আবু হায়দার ১/৩৩, ও মাহমুদউল্লাহ ১/১)।