তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছি… আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি বলেই এই এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে… এই সমস্ত কাজগুলো শেষ করতে হবে, এজন্য আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেয়া দরকার।’
রবিবার তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী (রংপুর-২) আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা আবারও দেশকে সেবা করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিন, যাতে করে পুনরায় আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাই।’
পুরো রংপুর এলাকা মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলে এই এলাকার অবস্থার পরিবর্তন হয়।
২০০৯ সালের পরে এখানে মঙ্গা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে কোনো মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষ নেই এবং কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই… আমরা সবার জন্য খাবার নিশ্চিত করেছি।’
ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে কোনো মানুষ ঘর ছাড়া থাকবে না এবং সবাই চিকিৎসা সেবা পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিয়েছে। ট্রাস্ট ফান্ড করে বৃত্তি- উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকে এক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই আমরা এসব করতে পেরেছি।’
সরকার দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় মডেল মসজিদ কাম কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার জীবনে এখন একটাই লক্ষ্য; আপনাদের সবাইকে ভালো অবস্থানে রাখা।’
তরুণদের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এইসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা তাদের দক্ষ করে তৈরি করছি। যাতে করে তারা নিজেদের জীবিকা নিজেরাই নির্বাহ করতে পারে।’
সরকার কৃষকদের জন্য কার্ড চালু করেছে ফলে তারা সহজেই ভর্তুকি পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সার, বীজ, কীটনাশক-প্রতিটি জিনিস সহজলভ্য এবং কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পান তার ব্যবস্থাও করেছি।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম ও যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী।