তিনি বলেন, ‘তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ইতিমধ্যে নয় সদস্যের সেল গঠন করা হয়েছে। সেলটি কার্যকর করার জন্য প্রথমে নির্ধারণ করা হবে এ মুহূর্তে অনলাইনে কোন গুজবগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এগুলো আসলে গুজব কিনা সেটা নির্ধারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে গিয়ে নিশ্চিত হবে। সেগুলো গুজব না হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। আর গুজব হলেই আমরা ব্যবস্থা নেব, জানাব যে এটি গুজব।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সেলের কার্যক্রম নির্ধারণ ও সহযোগিতা বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, ‘এ সেল চলতি মাসে কার্যক্রম শুরু করবে আশা করছি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে। আমরা যদি মনে করি তথ্য অধিদপ্তরের এ সেলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য আরো একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন তাহলে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে।’
‘আমরা প্রকৃত তথ্য সরবরাহ করব। তবে তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো কনটেন্ট ডেভলপ বা কোনোকিছু প্রচার করবে না। সমালোচনার উত্তর দেয়া এবং কে ট্রল করছে সেটা দেখাও আমাদের কাজ নয়, পুলিশিং কাজ করা আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা শুধু গুজবটা শনাক্ত করতে এবং সেটি সম্পর্কে জনগণকে দ্রুততার সাথে জানাতে চাই। মানুষ অনেক সময় অনলাইনের গুজবগুলো বিশ্বাস করে। অনলাইন বা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব বিষয় ঘুরে বেড়ায় সেগুলো সোর্স হিসেবে ব্যবহার না করতে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধপত্র পাঠানো হবে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশনসহ (এটুআই) সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অনলাইনে ছড়ানো বিতর্কিত তথ্য গুজব শনাক্তকরণ সেলকে জানাবে। পরে সেল স্থানীয় পর্যায়ে ওসিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে তথ্যগুলো গুজব কি না তা শনাক্ত করবে। যদি গুজব হয় তাহলে সেলের কাজ হবে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো।
কোন বিষয়গুলোকে গুজব হিসেবে ধরা হবে তাকে মূল চ্যালেঞ্জ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গুজব হচ্ছে- এমন মিথ্যা বা অসত্য বা বানোয়াট তথ্য বা অতিরঞ্জন, যার কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ক্ষুণ্ণ, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত এবং রাষ্ট্র বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়।’
‘পরে গুজবগুলোর তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কনটেন্ট ব্লক বা ফিল্টার করার জন্য বিটিআরসির কাছে তালিকা পাঠিয়ে দেব। গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা এটি দৈনিক বা সাপ্তাহিকভাবে করতে পারি। এ জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের একসাথে কাজ করতে হবে,’ জানান তারানা হালিম।