সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন সান্তাহার জংশন স্টেশনের মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম।
এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সান্তাহার জংশনের বাগবাড়ি মেইন লাইনে আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে ট্রেনের সামনের ছয় বগি নিয়ে ট্রেনটি গন্তব্যস্থল চিলাহাটি পৌঁছে।
জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৫টায় খুলনা থেকে আসা ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবার পরই সান্তাহার রেলওয়ে লেভেলক্রসিংয়ের ৫৮নং পয়েন্টে ট্রেনটির সাত নং বগির একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। কিন্তু চালক ও পরিচালক ঘটনা বুঝতে না পেরে ট্রেনটি চালিয়ে যেতে থাকেন। এঅবস্থায় প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে বাগবাড়ি নামক স্থানে ট্রেনটির ওই বগির তিনটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে হেলে পড়ে যাবার উপক্রম হলে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। এসময় পাশের বগিতে কর্মরত ট্রেনের এ্যাটেনডেন্ড আবু হানিফা ঘটনাটি জানতে পারেন। তিনি ঘটনাটি ট্রেন চালক ও পরিচালককে অবহিত করলে সেখানেই ট্রেনটি থামিয়ে দেয়া হয়। পরে লাইনচ্যুত বগির সামনে থাকা ছয় বগি নিয়ে ট্রেনটি চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এদিকে রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ দপ্তর সান্তাহার রেলওয়ে পিওয়ে দপ্তর থেকে দাবি করা হয়েছে, অদক্ষ চালক ট্রেনটি ওভার রান (নির্ধারিত গতির অতিরিক্ত) করার কারনে স্টেশনের প্রথম (৫৮ নং) ক্রসিং পয়েন্টেই ট্রেনের ওই বগির একটি চাকা এবং পরে তিন চাকা লাইনচ্যুত হয়। ওই দপ্তর থেকে বলা হয়েছে ক্রসিং পয়েন্ট এলাকা ১০ কিলোমিটার গতিতে অতিক্রম করার আইন রয়েছে। কিন্তু ওই ট্রেন চালক সে আইন অমান্য করায় এঘটনা ঘটেছে।