শুক্রবার সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কাজী গিয়াস উদ্দিন জাপান ও বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে ফাইন আর্টসে স্নাতক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে টোকিও ইউনিভার্সিটি অফ আর্টস অ্যান্ড মিউজিক থেকে সম্মানসূচক পিএইচডি অর্জন করেন।
গিয়াস উদ্দিন ফ্রিল্যান্সার শিল্পী হিসাবে জাপানে কাজ শুরু করলেও ক্রমেই তিনি সেখানে সুপরিচিত শিল্পী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার শিল্পকর্ম জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান সাংস্কৃতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে অনবদ্য অবদান রেখেছে। এ জন্য ১৪০ জন বিদেশির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি হিসাবে ‘দ্যা অর্ডার অফ রাইজিং সান, গোল্ড, অ্যান্ড সিল্ভার রেইস’ সম্মাননা লাভ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মাতসুশিরো হরিগুচি একজন পেশাদার কূটনীতিক ছিলেন। তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কূটনীতিক হিসাবে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন।
মাতসুশিরো হরিগুচি বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বইও লিখেন। বাংলাদেশের বন্ধু এই ব্যক্তি এখন দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জনসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় তাকে ‘দ্যা অর্ডার অফ স্যাক্রেড ট্রেজার, গোল্ড রেইস উইথ নেক রিবন’ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যের শুরুতে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন দুজনকে শুভেচ্ছা এবং দূতাবাসের দেয়া সংবর্ধনা গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের এই সম্মান প্রাপ্তিতে আমরাও সমানভাবে গর্বিত। রাষ্ট্রদূত তাদের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন।
গুণীজন ও তাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাইকা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন এলহাম নুসরাত নন্দিতা। আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।