মামলার অপর দুই অভিযুক্ত হচ্ছেন-বিশ্ববিদ্যালটির প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন।
বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে করা রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আগামী রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগে মনজিল মোরসেদ এই তিনজনকে নোটিশ পাঠান।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আমরা তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। উপাচার্যের পক্ষে একজন আইনজীবী একটা জবাব দিয়েছেন। জবাবে তো তারা বলবে যে, ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নিয়েছি বা নিচ্ছি। কিন্তু সেরকম কোনো জবাব না দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আইনি নোটিসে আমরা যে বক্তব্য দিয়েছি, তা তারা অস্বীকার করছেন। নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি, এটা নিশ্চিত হয়েই এই মামলাটা করা হয়েছে।’
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এছাড়া ওই নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা অনুসারে ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠান রিটকারীর আইনজীবী।
জানা যায়, ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তখনকার শিক্ষার্থী আলী আসিফ শাওনসহ ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।