সোমবার ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘আগামী ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টায় নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভার বৈঠক সাধারণত প্রতি সপ্তাহে সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো দিন করতে পারেন।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ৭ জানুয়ারি বিকালে বঙ্গভবনে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেই সাথে তার নতুন মন্ত্রিসভার ৪৬ সদস্যও শপথগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে ওইদিন বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী, ৩টা ৪৬ মিনিটে ২৪ মন্ত্রী, ৩টা ৫৩ মিনিটে ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩টা ৫৭ মিনিটে তিন উপমন্ত্রীকে শপথ পাঠ করান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এবারের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল আনা হয়। অনেক সিনিয়র নেতারাও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি।
২৪ মন্ত্রী হলেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ), ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আবদুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান (স্বরাষ্ট্র), মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন, বিচার ও সংসদ), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়), ডা. দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গৃহায়ন ও গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন), বীর বাহাদুর ঊশৈসিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) ও মোস্তাফা জব্বার (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)। তাদের মধ্যে শেষের দুজন টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন।
১৯ প্রতিমন্ত্রী হলেন- কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম ও কর্মসংস্থান), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ পরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন) ও টেকনোক্র্যাট হিসেবে শেখ মো. আবদুল্লাহ (ধর্ম)।
তিন উপমন্ত্রী হলেন- বেগম হাবিবুন নাহার (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ) ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।