জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর বারবার বিভিন্ন পর্যায়ে বলে যাচ্ছে যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অবশ্যই উদ্বাস্তুদের ব্যক্তি পর্যায়ে নেয়া অবাধ ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুরু করতে হবে।
উদ্বাস্তুদের স্বচ্ছন্দে প্রকাশ করা ইচ্ছা এবং ফিরে যাওয়া এলাকা ও দেশের পরিস্থিতির প্রাসঙ্গিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে শুধুমাত্র তাদের ফিরে যাওয়া উচিত হবে।
আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকারী সংগঠনগুলোর জোট ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ১৩-২৬ নভেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে আইএসসিজি।
ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৯২২ জনের অধিক নতুন রোহিঙ্গার আগমনের খবর পাওয়া গেছে।
ইউএনএইচসিআর সব সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে, নিজেদের ফেরা নিয়ে যেসব উদ্বাস্তুর প্রশ্ন রয়েছে তাদের যেন কুতুপালং ও নয়াপাড়া নিবন্ধিত শিবিরের ইউএনএইচসিআর কার্যালয়, ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষা হটলাইন ও শিবিরে থাকা ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষাকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া চরম সহিংসতার কারণে পরবর্তী কয়েক মাসে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার আলোড়ন-সৃষ্টিকারী উদারতা ও উন্মুক্ত সীমান্ত নিয়ে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানায় বলে আইএসসিজির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।