তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবেদন সঠিক নয়। আমি পুরোপুরি এটি প্রত্যাখ্যান করছি। গণমাধ্যম থেকে যে তথ্য পেয়েছি তাতে কোথাও এ বিষয়ে কোনো রকমের কোনো অভিযোগ আসেনি।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এক অনুষ্ঠান শেষে টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা ‘লজ্জাজনক ছিল’ টিআইবির এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি অসৌজন্যমূলক বক্তব্য। এ কথাগুলো বলা উচিত হয়নি।’
তবে কেএম নূরুল হুদা জানান, টিআইবির এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেবেন না।
নির্বাচনে অনিয়ম হয়নি দাবি করে সিইসি বলেন, ‘গণমাধ্যম, ইসি কর্মকর্তা, ইলেকটোরাল তদন্ত কমিটি, ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি। এমন হয়নি। টিআইবি যেরকম বলেছে তার সত্যতা নেই।’
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতের তথ্য তুলে ধরে গত মঙ্গলবার ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা- টিআইবি। প্রতিবেদনে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেনি। নির্বাচনের সময় তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ যেমন- পর্যবেক্ষক ও সংবাদমাধ্যমের জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, মোবাইলের জন্য ফোর-জি ও থ্রি-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ ও জরুরি ব্যতিত মোটরচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।