একই সঙ্গে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুসারে যারা এ সুবিধা পান তাদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই তা চলমান রাখতে বলা হয়েছে।
এক রিটের নিষ্পত্তি করে বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
‘রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ ভিআইপি নন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরেও ভিআইপি প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি’ শীর্ষক খবরের সূত্র ধরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহীনুর রহমান বুধবার এ রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী একরামুল হক, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও তাপস কুমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে আইনজীবী একরামুল হক বলেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যম প্রটোকল নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে মিসকোট করে সংবাদ প্রচার করেছে। পরে একজন বিচারপতির সফর নিয়েও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সুপ্রিম কোর্ট, বিচারপতি এবং সাংবিধানিক পদাধিকারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, এটাই আমি শুনানিতে বলেছি।’
২৫ জুলাই একজন যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে তিন ঘণ্টা ফেরি আটকে রাখা হলে সেখানে অ্যাম্বুলেন্সে তিতাস ঘোষ নামে এক স্কুলছাত্র মারা যায় বলে অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে ৩১ জুলাই তিতাসের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়।
ওই শুনানির এক পর্যায়ে একজন বিচারপতি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা ভিআইপি না। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী ভিভিআইপি। তাদের নিরাপত্তার বিষয় থাকে, সে কারণে তাদের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু এটা অন্য কারও ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও দায়িত্বরত পুলিশের গাড়িকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সারা বিশ্বে এটাই হয়। কিন্তু এখানে হয়েছে উল্টোটা। অ্যাম্বুলেন্সকে কেন অগ্রাধিকার দেয়া হলো না?’
এরই মধ্যে হাইকোর্টের একজন বিচারপতির খুলনা সফরের সময় সার্কিট হাউজে ভিআইপি কক্ষ, গাড়ি ও পুলিশ এসকর্টের ব্যবস্থা চাওয়া হয় খুলনার জেলা প্রশাসনের কাছে। এ নিয়ে খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।
জানা যায়, বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ভিআইপি প্রটোকলের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞার আদেশ না দিলেও সংবাদে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। আর এ বিষয়টি তুলে ধরে রিট করেন আইনজীবী শাহীনুর রহমান।