মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। যে কোনো অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী যদি জেলে থাকেন নিয়ম অনুযায়ী তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।’
উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শিক্ষক মাইদুল। শুনানি শেষে আদালত সেটা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে গত ১৭ জুলাই মাইদুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও চাকরিচ্যুতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুলাই হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ বাদী হয়ে চবি নাট্যকলা বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমাম উদ্দিন ফয়সাল পারভেজকে সাক্ষী করে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শিক্ষক মাইদুল জেল হাজতে রয়েছেন।