মঙ্গলবার জাতিসংঘে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের ২০১৯ সালের প্রথম নিয়মিত অধিবেশনে এ ঘোষণা আসে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এবং সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের নবনির্বাচিত সভাপতি, জাতিসংঘে নিযুক্ত সুদানের স্থায়ী প্রতিনিধি ওমর ডাহাব ফাহদল মোহাম্মেদ উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, শিশু অধিকারের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।
‘উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, অপুষ্টি হ্রাস, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি বৃদ্ধি, বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিশু সংশ্লিষ্ট ব্যয় খাত সৃষ্টি এবং শিশু ও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন,’ বলেন তিনি।
শিশু সংশ্লিষ্ট খাতে বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য বিষয়ে ইউনিসেফের গবেষণা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘ইউনিসেফের গবেষণায় উঠে এসেছে যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কিশোরী স্বাস্থ্য ও মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগে সরকারের বিনিয়োগ শিশু বিয়ে বন্ধে ইতিবাচকভাবে সাহায্য করেছে।’
ভীতসন্ত্রস্ত্র ও বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশু ও নারীদের সহায়তার ক্ষেত্রে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকার ও এদেশের জনগণকে যে চমৎকার সহযোগিতা করেছে তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ অনুন্নত ও উন্নত দেশের শিশুদের মাঝের বৈষম্য হ্রাসে ইউনিসেফের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে তিনি ইউনিসেফের ‘জেনারেশন আনলিমিটেড’ শীর্ষক পদক্ষেপের সূচনার প্রশংসা এবং তা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।