বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৭ জানুয়ারি মিয়ানমার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিবেদন করেছে, যা নিয়ে বাংলাদেশ পুরোপুরি হতাশ ও ক্ষুব্ধ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের ভিত্তিহীন ও প্ররোচনামূলক অভিযোগের দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমান সংঘর্ষ মিয়ানমারের নিজস্ব রাজনৈতিক ও সামাজিক দ্বন্দ্বের ফলাফল।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মিয়ানমারের অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া এবং ভিত্তিহীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ‘শূন্য সহনশীলতা নীতির’ কারণে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী উচ্চ সতর্কতা এবং কার্যকর প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে সন্ত্রাসী ঘাঁটি চালানো সম্ভব নয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘মিয়ানমার সরকার যদি তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়িত না করে তবে সেটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রশংসিত হবে।’
‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে একটি প্রতিবেশী দেশের কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে এদেশের ভূমি ব্যবহার করতে দিবে না। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডসহ সকল সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা নিশ্চিত যে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই এবং বাংলাদেশ তার মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে আশ্রয় দিচ্ছে না। সীমান্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে এমন যেকোনো অপ্রতিরোধ্য ঘটনা প্রতিরোধে সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’