ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালত সম্প্রতি তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার শিক্ষকদের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা জানতে পেরেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও মন: ক্ষুণ্ণ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কোটা আন্দোলনের সময় ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় মাইদুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। গত ১৭ জুলাই তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের হুমকির কারণে মাইদুল ইসলাম ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন। নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর একটি আবেদনও জানান তিনি। পরে ৫৭ ধারায় মাইদুলের বিরুদ্ধে হাটহাজারি থানায় মামলা করেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত ৬ আগস্ট আদালত থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান মাইদুল। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যত দ্রুত সম্ভব মাইদুল ইসলামের সম্মানের সাথে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
পাশাপাশি তাকে হুমকি দেয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা অন্যান্যদের মধ্যে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
মঙ্গলবার চবি কর্তৃপক্ষ মাইদুলকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুলাই হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ বাদী হয়ে আইসিটি আইনে মামলা করেন।
কোটা আন্দোলনের পক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ‘ছাত্রলীগ’ শিক্ষক মাইদুলকে বার বার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। হুমকির প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন মাইদুল ইসলাম।