এর আগে শনিবার নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে এমন সংবাদ পেয়ে সংস্থার জেলা মুখপাত্র আমিনুর রহমান টুকু দুজন কর্মীকে নিয়ে দেখতে যান।
সেখানে গৃহবধূ শিরিন আক্তার জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার স্বামী মো. রবিউল ইসলাম প্রায়ই তাকে মারধর করতো। ঘটনার দিন ২৩ জানুয়ারি রাতে যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী তাকে বেদম মারধর করেন। ভয়ে তার ৫ বছরের ছেলে ও ৫ মাসের কন্যা সন্তান রেখে ওই রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হন শিরিন। রবিউল তার কোনো খোঁজ নেয়নি, উল্টো দুধের শিশু ফাতেমাকে আটকে রাখে।
রবিবার সকালে মানবাধিকার কর্মী টুকু সংস্থার কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামে রবিউলের বাড়ি যান এবং শিশু দুইটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পাড়াপ্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজনের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে গৃহবধূর বোন নিলুফা ইয়াসমিন ও ভাই শাহরিয়ারের কাছে শিশু ফাতেমাকে তুলে দেন হাসপাতালে মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য।