স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি লিডাররা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, মিয়ানমারের চিন রাজ্যের এসব শরণার্থী শনিবার রেমাক্রি প্রাংনসা ইউনিয়নের চাইক্ষাং সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান নেয়ার পর মঙ্গলবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
অনুপ্রবেশকারীরা চাইক্ষাং পাড়ার আশপাশে খোলা জায়গায় ত্রিপল টানিয়ে বাস করছেন। তীব্র শীতের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরা দুর্ভোগে রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দরা তাদের খাবার দিয়ে সহায়তা করছেন।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে বলে গোয়ান্দা সূত্রে জানা গেছে। বেসামরিক প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সেখানে পাঠিয়েছে। এছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, শরণার্থীরা বার্মিজ ভাষা তাদের মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা বেগুন, পাহাড়ি লতাপাতা, কলার মোচা ইত্যাদি খেয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে জানান।
আরও বেশকিছু শরণার্থী সীমান্ত পথে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুল আলম বলেন, শরণার্থীদের বান্দরবানে প্রবেশের খবর তিনি জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেনেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
গত ডিসেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় খুমি, খেয়াং, বম ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে বান্দরবান দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।