বুধবার দুপুরে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কুদ্দুশ (৩০) রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাইধারা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।
এ মামলায় কুদ্দুশের মা মাসেকা বেওয়াসসহ (৫০) আরো তিনজন আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ২০০৫ সালের দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিলগ্রামের আক্কাছ আলী প্রামানিকের মেয়ে শামিমা আক্তারের বিয়ে হয় কুদ্দুশের সাথে। বিয়ের পর কুদ্দুশ যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে নির্যাতন করত। ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর কুদ্দুশ তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
তবে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেন শামিমা আক্তারের বাবা আক্কাছ আলী। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। পরবর্তীতে আদালতে মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। আসামিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বুধবার এই রায় ঘোষণা করন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পরিদর্শক খুরশীদা বানু কনা জানান, রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।