বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ।
আটক দোকানি মোস্তফা আহমেদ মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের স্পন্দন কম্পিউটার এবং আরিফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম ভাই ভাই কম্পিউটার দোকানের মালিক।
ভুক্তভোগীরা জানান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৭০০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মামুনের দোকানে আবেদনপত্র পূরণ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের তিনি প্রতারণা করে প্রতিবন্ধী কোটায় আবেদন করাতেন এবং পরদিন ভুয়া প্রবেশপত্র দিতেন। এভাবে প্রতারক চক্রটি প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা আরও জানান, বুধবার রাতে এক আবেদনকারী তার প্রবেশপত্রের সাথে মোবাইলে আসা ইউজার আইডির মিল না পেয়ে বিষয়টি এক বন্ধুকে জানান। পরে তারা বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তাদেরও একই সমস্যা দেখতে পান। বিষয়টি নিয়ে তারা বৃহস্পতিবার সকালে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে খবর দেন।
শিক্ষার্থীরা মামুনের প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে চড়াও হয় এবং তাকে চড়-থাপ্পর মারেন। এসময় তাকে আটক করে প্রক্টরের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরিফ ও রফিকুলকেও পুলিশ আটক করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নজরে না আসলে অসংখ্য শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় পড়ে যেত। আমি বিষয়টি জানার পরই পিএসসির সাথে যোগাযোগ করি। তারা শিক্ষার্থীদের পুনরায় আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, ‘প্রক্টরের দপ্তর থেকে তিন দোকানিকে প্রতারণার ঘটনায় আটক করা হয়েছে। পরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’