মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কিংবা কোনো বন্দীকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। খালেদা জিয়াসহ যেকোনো বন্দীকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার আদালতের। রিজভী বারবার একই আহ্বান (খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান) জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, আইন আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছেন।’
তবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো বন্দী যদি তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে তাকে মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন।’
বিএনপির উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রিজভী ও বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের এগোতে হবে। আর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে না গিয়ে যদি অন্যকোনো পথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় সেটি সম্ভবপর নয়।’
বিএনপি ও জামায়াত আলাদা হচ্ছে- গণমাধ্যমের এমন সংবাদ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আলাদা হয়ে যাচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। কিন্তু খবরের ভেতরে দেখলাম জামায়াত প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি তাদের ছাড়তে চায় না। বিএনপি যদি তাদের ত্যাগ করে বলে, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আমরা নির্বাচন-আন্দোলন করে ভুল করেছি, আমাদের উপলব্ধি হয়েছে যে যুদ্ধাপরাধীদের দলের সঙ্গে আমরা থাকব না...বিএনপি এ ঘোষণা দিয়ে অতীতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে জামায়াতকে তাদের জোট থেকে বের করে দিলে আমরা বিএনপিকে সাধুবাদ জানাব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আবাসিক হলের পরিবর্তে প্রশাসনিক ভবনে করার দাবি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে শুরু থেকেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হলে ভোটকেন্দ্র ছিল। এবারও গঠতন্ত্র অনুযায়ী হলে ভোট হবে জানিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল বিভিন্ন দাবি করছে, যা ডাকসুর গঠনতন্ত্র বিরোধী।’