চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝুমুর সিনেমা হল, কালীবাজার সড়ক, দক্ষিণ তেমহুনীসহ বিভিন্ন স্থানে যানবাহন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ নেমেছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, লক্ষ্মীপুর-চন্দ্রগঞ্জ, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ সড়কে সিএনজি অটোরিকশা চালাতে হলে দিনে প্রতি সিএনজি ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত কয়েকটি স্পটে চাঁদা দিতে হয়। এছাড়াও পুলিশের নামে মাসোহারা ২০০-৩০০ টাকা আদায় করে। চাঁদা দিতে দেরি হলে গাড়ি আটক ও চালকদের মারধর করে। চাঁদা ও গাড়ি মালিকে টাকা জমা দেয়ার পর আর কিছুই থাকে না তাদের। এর মধ্যে আবার ট্রাফিক পুলিশকেও চাঁদা দিতে হয়। তাই এসব বন্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এ বিষয়ে গাড়ির মালিকরা জানান, দ্রুত এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে আরও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের।
হয়রানির কথা অস্বীকার করে লক্ষ্মীপুর সড়ক পরিবর্তন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ জেলায় প্রায় ১০ হাজারেও বেশি সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। এর মধ্যে ৭ হাজার ২শ সিএনজির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। বাকি যেসব সিএনজি সড়কে চলাচল করে, তাদের কোনটিরও রেজিস্ট্রশন নেই বলে দাবি করেন তিনি। এসব চালকদের মধ্যে গুটি কয়েক চালক ছাড়া বাকিদের কোনো লাইসেন্স নেই।