রবিবার দিবাগত রাতে এসব সিগারেট আটক করা হয়। আটককৃত সিগারেট ৬৬০ কার্টনে পাওয়া যায়। সিগারেটগুলো ইজি, দুনহিল এবং বেনসন ব্রান্ডের।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কুয়েত থেকে ছেড়ে আসা কেইউ ২৮৩ ফ্লাইটটি রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে ওই ফ্লাইটে বিপুল পরিমাণ সিগারেট আসবে। এ প্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা দল ব্যাগেজ বেল্টসহ গ্রিন চ্যানেলে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখে। কুয়েত ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত ৪নং ব্যাগেজ বেল্ট থেকে ব্যাগ সংগ্রহ করে এক যাত্রী গ্রিন চ্যানেলের দিকে যাওয়ার প্রাক্কালে শুল্ক গোয়েন্দা দল তাকে চ্যালেঞ্জ করে তার পাসপোর্ট দেখতে চায়। পরবর্তীতে যাত্রী তার পাসপোর্ট রেখেই ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে যায়। এছাড়া ব্যাগেজ বেল্টে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরো ২টি লাগেজ পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, সৌদি এয়ারলাইনস এসভি ৮০২ ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত ৫নং বেল্ট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরো ২টি লাগেজ পাওয়া যায়। সবগুলো লাগেজ স্ক্যান করে বিপুল পরিমাণ সিগারেটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরবর্তীতে কাস্টমস হলে রাত ৩টার দিকে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে লাগেজগুলো খুলে মোট ৬৬০ কার্টনে ১ লাখ ৩২ হাজার শলাকা আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট আটক করা হয়।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ব্যতিত বিদেশি সিগারেট আমদানি করা যায় না।
সিগারেটের ওপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০%) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের।
পণ্যের শুল্ককরসহ আটক পণ্যের মূল্য প্রায় ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আটককৃত পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম।