নিহত রিপন (৩৯) ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানার আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি ইয়াগী পোশাক কারখানার লাইন চিফ হিসেবে কাজ করতেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাগান এলাকায় আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি খালি মাঠে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
লাশের গালায় ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’ লেখা একটি প্লাকার্ড ছিল জানিয়ে ওসি বলেন, কে বা কারা তাকে হত্যার পর ওইখানে ফেলে গেছেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, গণধর্ষণের শিকার এক নারী পোশাক শ্রমিক ৭ জানুয়ারি মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শ্রমিকের বাবার দায়ের করা মামলায় মূল আসামি ছিলেন রিপন।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এক কিশোরী। এ সময় স্থানীয় রহিম, শিপন ও কারখানার লাইন চিফ রিপনসহ পাঁচজন তাকে তুলে নিয়ে কারখানার পেছনের একটি মাঠে গণধর্ষণ করেন।
মেয়েটি ৭ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিনই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।