মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত গৃহবধূর স্বামী সুবীর কুমার রায় ও তার দুই ভাই ডা. সুশীল কুমার রায়, সুনীল কুমার রায় ও চাচা মনোরঞ্জন রায়।
সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কায়সার আহম্মেদ লিটন জানান, ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল শহরের গোপীনাথ বিশ্বাসের মেয়ে সুমী রায়ের সাথে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কের শীলা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী সুবীর কুমার রায়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে সুমীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়। পরবর্তীতে গৃহবধূ সুমীর লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সিরাজগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন এসআই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহতের স্বামীসহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো।