শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র (জামায়াতুল মুজাহাদীন বাংলাদেশ) সন্দেহভাজন সদস্য শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় সহপাঠী শোভনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরে ইংরেজি বিভাগের সাবেক ছাত্র শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ। ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সংঘবদ্ধ হয়ে রাবি’র ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে হত্যা করে সে আত্মগোপনে চলে যায়।
‘এর কিছুদিন পরই ওই বছর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনায় প্রধান ভূমিকা ছিল শরিফুলের,’ যোগ করে র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শরিফুল তার আমিরের নির্দেশে রাবির অধ্যাপককে হত্যা করে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার তিনমাস পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা, নয় ইতালীয়, সাত জাপানি, এক ভারতীয়, এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, দুই বাংলাদেশিসহ ২২ জনকে হত্যা করা হয়।
‘ওই হামলার পর সে সুকৌশলে ফের আত্মগোপনে চলে যায়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সে প্রকাশ্যে এসে আবারো জঙ্গিদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা করে।’
গ্রেপ্তার শরিফুলের বরাত দিয়ে মুফতি মাহমুদ আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে নব্য জেএমবি সদস্যরা পুনরায় সুসংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য একত্রিত হয়েছে।’
‘দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,’ বলেন মুফতি মাহমুদ খান।