মঙ্গলবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচনের আয়োজন করা...এটা শেষ সপ্তাহে হতে পারে।’
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা নেই, কারণ ওই সময়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। যদি ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে স্কুল শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
সচিব জানান, যদিও আগামী সাধারণ নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, তারপরও সাধারণ নির্বাচনে সেসব ব্যবহারের বিষয়ে তারা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
‘যদি সব দল রাজি হয় তাহলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। সুতরাং, আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
হেলালুদ্দীন বলেন, কমিশন দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এই দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে এক-তৃতীয়াংশ ভোটকেন্দ্রে পুরোপুরিভাবে ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ভোটগ্রহণ আয়োজন করা যাবে।
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রথমে আইনি ভিত্তি থাকতে হবে জানিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, ব্যালট পেপারের বদলে ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের পথ সুগম করতে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করা প্রয়োজন।
আরপিও সংশোধন নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ৩০ আগস্ট কমিশন বৈঠকে বসবে বলে জানান ইসি সচিব।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ইভিএম ব্যবহার করব কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করার আছে। যদি আইনি ভিত্তি (আরপিও সংশোধন) এবং পরিকল্পনা কমিশনের সমর্থন (ইভিএম সংগ্রহ) পাওয়া যায় তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা হতে পারে।’
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের হাতে মাত্র ৩৮০টি ইভিএম রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সীমিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
হেলালুদ্দীন জানান, আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য ইসি ইতিমধ্যে তাদের ৮০ শতাংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
জাতীয় নির্বাচনের পর দেশব্যাপী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।