তার সফরকালে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব প্রতিরক্ষা এবং আইসিটি খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে।
পাশাপাশি সফরে সরকারি ও বেসরকারি আরো কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট ৩টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানটি একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় (স্থানীয় সময়) রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন বান্দার এবং সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
রিয়াদে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকালে সৌদি রাজপ্রাসাদে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং পরে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দিবেন।
এর আগে সকালে তার স্যুটে কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বার (সিএসসি) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন তিনি। শেখ হাসিনা রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় (স্থানীয় সময়) বিমানযোগে পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশে রিয়াদ ত্যাগ করবেন এবং স্থানীয় সময় রাত ৯টায় প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। রাতে তিনি মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মোহম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জেদ্দার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন। বেলা সোয়া ১১টায় তিনি কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
তিনি সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে দেশের উদ্দেশে কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।