সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে পাঁচ গ্রামের বেশি ইয়াবা উৎপাদন, ব্যবসা, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সেবন করলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজার বিধান রাখা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পাঁচ গ্রামের কম ইয়াবা থাকলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল এবং সর্বনিম্ন ১ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন বা কোকেন পরিবহন, ব্যবসা, মজুদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সেবনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২৫ গ্রামের কম থাকলে সর্বোচ্চ ১০ বছর, সর্বনিম্ন ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, বিল অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা বা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
‘যদি কোনো ব্যক্তি অথবা সংগঠন অর্থ, টাকা-পয়সা সরবরাহ অথবা পৃষ্ঠপোষকতা করে এমন ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে একই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
পাশাপাশি ইয়াবা, সিসা এবং ডোপটেস্টকে এই বিলে একীভূত করা হয়েছে যা ১৯৯০ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ছিল না। এছাড়া প্রস্তাবিত আইনে মাদক খাটের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান শফিউল আলম।
‘প্রস্তাবিত আইনে সব ধরনের মাদককে যুক্ত করা হয়েছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিলে বিশ্বের সব ধরনের মাদক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যুক্ত করা হয়েছে।