মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থাইল্যান্ড থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মোহাম্মদপুরের বাইতুল আমান মসজিদে জানাজা শেষে মরদেহ আদাবরের বাসায় নেয়া হবে। পরে তা রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমজাদ হোসেনের কফিন শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। পরে মরদেহ এটিএন বাংলা কার্যালয়, বিএফডিসি ও চ্যানেল আই কার্যালয়ে নেয়া হবে।
তাকে জামালপুর জেলায় নিজ গ্রামে দাফন করার কথা রয়েছে।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৪ ডিসেম্বর ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত ২৮ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংকক নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ১৮ নভেম্বর আমজাদ হোসেনকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
বিখ্যাত এই পরিচালকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আমজাদ হোসেন একাধারে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী অনেক সিনেমা নির্মাণ করেছেন।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।