সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০০৯’ সংশোধনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে আরো যথোপযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
সরকারি নথি অনুযায়ী, প্রত্যেক উপজেলার একটি স্কুলকে বিশেষায়িত স্কুলের স্বীকৃতি দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য নির্দিষ্ট সেই স্কুলকে নীতিমালার শর্তপূরণ করতে হবে।
নথিতে বলা হয়, ‘নীতিমালা চুড়ান্ত হওয়ার পর স্কুলগুলো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চুড়ান্ত স্বীকৃতি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা সংশোধন করে অনুমোদনের জন্য দুই মাস আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আমাদের কাছে আসার পর আমরা এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবো এবং মন্ত্রিপরিষদ এ ব্যাপারে চুড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
সমাজ কল্যাণমন্ত্রণালয় অতি শিগগিরই মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা করবে বলেও জানান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
নথি অনুযায়ী, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও নিরাপত্তা আইন ২০১৩ এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল সিকিউরিটি ট্রাস্ট আইন ২০১৩ সমন্বিত করে প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী মেনন জানান, আইন দুটির বিধানুয়ায়ী প্রতিবন্ধীদের জন্য সমন্বিত জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিদ্যমান ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০০৯’ অনুযায়ী, বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ৬২টি বিদ্যালয় রয়েছে।
সূত্র জানায়, এসব স্কুলের শিক্ষক - কর্মচারীরা ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার থেকে বেতন ভাতা সুবিধা পেয়ে আসছে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবমান উন্নয়নের জন্য খুবই আগ্রহী।