হাসপাতালের উত্তর পূর্বাংশে যে ভবন অবশিষ্ট আছে, তার কিছু অংশ পুকুরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইউএনবিকে জানান, প্রায় ৫০০ জন রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারী জেলায় কর্মরত আছেন। টানা ১১ বছর বন্ধ থাকায় চাঁদপুরের প্রায় ৫০০ রেল কমকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবার পরিজন দীর্ঘসময় সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রেল কর্মচারী ও তাদের পরিবারের লোকজন। একই রকম ক্ষোভের কথা জানালেন কয়েকজন অবসরে যাওয়া রেল কর্মকর্তা ফয়জুল বারি, সুখরঞ্জন দাশ ও তার পরিবার পরিজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য তাদের যেতে হয় লাকসামে-যা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ও সময় সাপেক্ষ। বাধ্য হয়ে অনেককে চাঁদপুর প্রাইভেট ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে হয়- যা বেশ ব্যয়বহুল ও অনেকের পক্ষে অসম্ভব।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাসপাতাল এলাকা দীর্ঘ ১১ বছর পরিত্যক্ত ও অন্ধকার থাকায় সেটি বখাটে ছেলেদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলে এখানে অনেকে বসে গাজার আসর, হৈ হুল্লুরে মেতে উঠে তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পূর্ব- উত্তর পাশ দিয়ে পুকুরে তলিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনটিও। চারিদিকে গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন রকমের আগাছা। হাসপাতালে ঢোকার প্রবেশ পথটিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেশ সরু হয়ে গেছে। রাস্তার মাটি পড়ে যাচ্ছে পুকুরে।
হতাশা প্রকাশ করে চাঁদপুরের অনেক রেলওয়ে কর্মকর্তা ও রেলকর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তা জানান, ‘আগে আমরা সবাই এ হাসপাতাল থেকে অনেক চিকিৎসা সুবিধা পেতাম, ভালো ডাক্তার ছিল, চিকিৎসার জন্য বইও পাওয়া যেতো। চাঁদপুরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এ হাসপাতালটি কারো নজরে আসেনি, যা খুবই দু:খজনক।’
অবিলম্বে হাসপাতালটি মেরামত করে সকলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।
জেলা রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, ‘হাসপাতালটির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার লিখিত ও অলিখিতভাবে জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আশা করি শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’