বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এবার আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি, বরং প্রত্যেক এলাকার ইউএনও ও ওসি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর রসিকতার পর এখন তারা (আওয়ামী লীগ) জনপদের পর জনপদে ধানের শীষের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর পৈশাচিক বর্বরতা চালাচ্ছে। আক্রমণ করে ভেঙে ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাট ও বাজার। সেগুলোতে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তাদের নেতা-কর্মীরা ঘর ছাড়া, এলাকা ছাড়া। তাদের গ্রেপ্তারে রীতিমতো হিড়িক শুরু হয়েছে। নানা হয়রানিসহ শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আক্রমণে অনেকে নিহত হয়েছেন।
নির্বাচন পরবর্তী এসব সহিংস ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য তিনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রিজভী অভিযোগ করেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা ২৯ ডিসেম্বর রাতে মানবশূন্য কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির উল্লাসে মেতে উঠেন।’
তিনি দাবি করেন, ‘মিথ্যা জয়ের জন্য ভোট জালিয়াতি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে। তারাই একতরফা নির্বাচনের মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করেছে। শেখ হাসিনার দল মানুষের ভোটে জিতেনি, তার দল জিতেছে গায়েবি ভোটে।’
‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ১৯৭৩ সালের খারাপ নির্বাচনের চাইতেও কুৎসিত’ হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন সরকার তৈরি হবে তা হবে গভর্নমেন্ট অব দ্য বিজিবি বাই দ্য র্যাব অ্যান্ড ফর দ্য পুলিশ।’
ধানের শীষে ভোট দেয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।