তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনেও চালের দাম ফের বেড়েছে কয়েক দফায়। প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের লোকেরাই কারসাজি করে এই দাম বৃদ্ধি করেছে।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে একসময় ভোট চাইলেও বর্তমানে মোটা চালের দামও পঞ্চাশ টাকার নিচে নয়। অন্যান্য চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, যদিও নতুন খাদ্যমন্ত্রী ইজ্জত রক্ষার্থে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীর ইজ্জত রেখেছেন চালের দাম আরও বৃদ্ধি করে।’
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের লোকেরা ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সহযোগিতা করে এখন ফায়দা নিতেই চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়ার ক্ষমতা খাদ্যমন্ত্রীর আছে কি না সেটিই বড় প্রশ্ন।’
বিএনপি নেতা বলেন, গরীব মানুষের পকেট কেটে বিপুল অর্থ লুটে নিচ্ছে সিন্ডিকেট। আর এদিকে দেশের জনগণকে দু:সহ জীবন-যাপনে বাধ্য করা হচ্ছে। ‘চালের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ক্ষুধার্ত থাকছে।’
রিজভী বলেন, ‘এই চালের মৌসুমেও চালের দরের ঊর্ধ্বগতি সামনের মাসগুলোতে খাদ্য সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। আমি চালের দাম বৃদ্ধিতে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
গার্মেন্ট কারখানায় সাম্প্রতিক অস্থিরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস গার্মেন্ট শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘মালিক-শ্রমিকদেরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি গার্মেন্ট শিল্প এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে তা মালিকদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারের ব্যর্থতা গত কয়েকদিন ধরে ফুটে উঠেছে।’