মামলা
ভিডিও ধারণ করে গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ, থানায় মামলা
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আদর্শ গ্রামের মো. মানিকের ছেলে মো. নূর আলম রাব্বি (২২) এবং তার বড় ভাই নূর হোসেন (২৯) এবং ভাবি রাশেদা আক্তার (২৪)।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার দুই নম্বর আসামি বড় ভাই নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পরিবার গরীব হওয়ায় তাকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রধান আসামি নূর আলমের ভাবি রাশেদা আক্তার তার ছোট সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য ওই কিশোরীকে বাড়িতে রাখে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
একপর্যায়ে নূর আলম রাব্বি ওই গৃহকর্মীকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে নিজের রুমে ১৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে, ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
পরে, ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধান আসামিসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ধর্ষণের অভিযোগ: টঙ্গীতে দুই যুবককে পুলিশে দিলো স্থানীয়রা
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- হরিপুর উপজেলার মরাধর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আকমল (১৯), মাইনুল হকের ছেলে হাসেম আলী (২০) ও সাজ্জাদ আলীর ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৩৪)।
এছাড়া বেকসুর খালাস পাওয়া আসামি হলেন মো. আব্দুল করিম।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় জানান,২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার চিকনি গ্রামে তিনশ’ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
আইনজীবী আরও জানান, ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড
যুক্তরাজ্যে বিমানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের লন্ডন স্টেশনের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার আখতারউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্ত শেষে ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়, দুদক-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
সোমবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লন্ডনের সিটি অফিসে অফিসের যন্ত্রপাতি ও টেলিফোন সংযোগ প্রদানের জন্য তিনটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ।
অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) আখতারউদ্দিন বিমানের হেড অফিসের কোনো অনুমোদন ছাড়াই সব চুক্তি নবায়ন করেন, যার ফলে প্রায় ৯৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
খুলনায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ইডি’র মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) করা অর্থপাচার মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের চাঁদাবাজি ও ২০০ কোটি টাকার অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইডি’র করা মামলায় জ্যাকুলিনকে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তলব করা হয়েছিল।
এ সময় অর্থপাচার মামলায় জামিনের আবেদন করেন অভিনেত্রীর আইনজীবীরা। অতিরিক্ত দায়রা জজ শৈলেন্দর মালিক জামিনের আবেদনে ইডির কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছেন। ইডির জবাব না পাওয়া পর্যন্ত তার নিয়মিত জামিন আদালতে বিচারাধীন থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তি পাবে ২৩ সেপ্টেম্বর
তার আইনজীবীর অনুরোধে আদালত ৫০ হাজার টাকার জামিন বন্ডে জ্যাকুলিনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
শুনানির পরবর্তী তারিখ এই বছরের ২২ অক্টোবর।
এর আগে বুধবার আদালত এই অভিনেত্রীকে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
চলতি বছরের ১৭ আগস্ট দিল্লির একটি আদালতে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় দাখিল করা একটি সম্পূরক চার্জশিটে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাম অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে ইডি।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রবীণ সিং সম্পূরক চার্জশিটটি আমলে নেয়ার পরে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জ্যাকুলিনকে এ হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালত বর্তমান মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে চার্জশিটের একটি অনুলিপি সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছে ইডিকে।
এদিকে, সোমবার এই মামলার তদন্তকারী দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার (ইওডব্লিউ) একজন আইনজীবী হাজির হয়েছিলেন।
তিনি আদালতকে জানিয়েছেন যে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজির হননি। তাই তারা সমন জারি করেছে।
তিনি আরও বলেন, জ্যাকুলিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট প্রশান্ত পাতিল হাজির হয়েছিলেন।
সে সময় প্রশান্ত জানান যে জ্যাকুলিন এই হাজির হবেন এবং তদন্ত সংস্থাকে সহযোগিতা করবেন।
তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনায় জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকেও ইডি একাধিকবার তলব করেছে।
ইডি’র আগের চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ এবং নোরা ফাতেহি এই বিষয়ে রেকর্ড করা বিবৃতির বিস্তারিত উল্লেখ করেছে।
ইডি-র আগের চার্জশিট অনুসারে, বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও নোরা ফাতেহি অভিযুক্ত সুকেশের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!
ইডির চার্জশিটে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘তদন্ত চলাকালীন ২০২১ সালের ৩০ আগস্ট ও ২০ অক্টোবর জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছিল। সেসময় জ্যাকুলিন বলেছিলেন যে সুকেশের কোছ থেকে তিনি গুচি ও চানেল থেকে তিনটি ডিজাইনার ব্যাগ এবং জিমে পড়ার জন্য গুচির দুটি পোশাক, লুই ভিটন জুতা, দুই জোড়া হীরার কানের দুল, নানা রঙের পাথরের একটি ব্রেসলেট এবং দুটি হার্মিস ব্রেসলেট উপহার পেয়েছেন। তাকে একটি মিনি কুপারও দেয়া হয়েছিল, যা তিনি ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন।’
ইডি’র তথ্যমতে, ‘২০২১ সালের ২০ অক্টোবর সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের দেখা হয়েছিল। এব্যাপারে জ্যাকুলিন বলেছিলেন যে সুকেশ চন্দ্রশেখর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ এবং তার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন।
অন্যদিকে আরেক অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির বক্তব্য আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-২০০২ এর ৫০ ধারার অধীনে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এবং ১৪ অক্টোবর রেকর্ড করা হয়েছিল। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তিনি একটি দাতব্য ইভেন্টের জন্য বুকিং পেয়েছিলেন এবং ইভেন্ট চলাকালীন তাকে একটি গুচি ব্যাগ এবং একটি আইফোন উপহার দিয়েছিলেন লীনা পাওলোস (চন্দ্রশেখরের স্ত্রী)।
নোরা আরও জানিয়েছেন যে লীনা পাওলোস তার স্বামীকে ফোন করেছিলেন এবং ফোনটি স্পিকারে রেখেছিলেন। তখন তিনি (নোরা) তাকে (সুকেশকে) ধন্যবাদ জানান এবং সুকেশ বলেন যে তারা (সুকেশ ও তার স্ত্রী) তার (নোরার) ভক্ত। এসময় তিনি (সুকেশ) আরও বলেছিলেন যে তারা (সুকেশ ও তার স্ত্রী) তাকে ভালবাসা ও উদারতার প্রতীক হিসেবে একটি নতুন বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেবেন।
ইডি জানায়, তদন্তের সময় সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল।
তল্লাশির সময়, পিএমএলএ-এর ১৭ ধারার অধীনে ১৬টি হাই-এন্ড গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এবং এই গাড়িগুলো হয় লীনা পাওলোসের সংস্থার নামে বা তৃতীয় পক্ষের নামে।
আরও পড়ুন: ৩৫ দিন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি: নুসরাত ফারিয়া
স্বর্ণ চোরাচালান মামলা: চট্টগ্রামে চীনা নাগরিকের ৭ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় এক চীনা নাগরিককে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নগরীর পতেঙ্গা থানার একটি মামলায় রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বেগমের আদালত এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফ্যান রংগুই চীনের জিং ওয়েস্ট আরডি বিয়াং জেলার ফ্যান উই ঝাংয়ের ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর ইএ ১৭২৪৩৪৮।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যূত,ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, চীনা নাগরিক ফ্যান রংগুইয়েরর বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারায় কারাদণ্ডের এই রায় দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৮ মে বিজি-১৪৮ দুবাই থেকে চট্টগ্রামের হজরত শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল সোয়া ৭টার দিকে অবতরণ করে। এ সময় চীনা নাগরিক ফ্যান রংগুই এর পণ্যসামগ্রী স্ক্যানিংয়ের সময় চার্জার লাইটে নিষিদ্ধ ধাতব পদার্থ থাকার বিষয়ে সন্দেহ হয় কাস্টমসের কর্মকর্তাদের। এরপর তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। একপর্যায়ে লাইট ভেঙে ২৪ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। ওজন প্রায় ২৪০ তোলা বা ২ কেজি ৮০০ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় একইদিন শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহারিয়ার হোসেন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্যান রংগুইকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ৯ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়কের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
টেকনাফে ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
পিবিআই প্রধানসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলা খারিজ
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে ২০০ ধারায় জবানবন্দি নেয়া এবং ফেনী কারাগারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে করা পৃথক দু’টি আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা মামলা খারিজের এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
বাবুল আক্তারের পক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালত তার আদেশে বলেছেন, পরিদর্শক দিয়ে পুলিশ সুপারের (এসপি) মতো পদের লোককে মারধর ও নির্যাতন করা অস্বাভাবিক। বাবুল আক্তার অনেকবার আদালত এসেছেন, জামিন চেয়েছেন কিন্তু এই এক বছর চার মাসে তিনি কোথাও আদালতে নির্যাতনের কথা বলেননি। আদালত মনে করেছেন, মিতু হত্যার মামলার আসামি হিসেবে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তিনি নতুনভাবে এই আবেদন দিয়েছেন। তাই আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।
এর আগে বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেছিলেন, মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম এবং সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।
আরও পড়ুন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
পুলিশ-বিএনপির সহিংসতায় দুই মামলায় সহস্রাধিক আসামি, গ্রেপ্তার ২৪
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সহস্রাধিক আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব সন্ধ্যায় জানান, পুলিশের ওপর হামলা, অস্ত্র লুটের চেষ্টা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিন বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে প্রধান আসামি করে দলের ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও সাত থেকে ৮০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিনের দায়ের করা এ মামলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার
আগেরদিন বুধবার দিবাগত রাতে মুক্তারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই ২৪ জনকে আটক করে। তাদের সকলের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মুক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দোকানপাট ভাংচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অপর আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও এক থেকে দেড়শ’ জনকে।
এদিকে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। বিকালে শহরের কাচারীস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হয়।
পরে বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. আনিছউজ্জামান আনিছ, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট শাহীন মো. আমানুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য ও পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সকালে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকা থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানারপুল এলাকায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বন্যাকান্দি গ্রামে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) জিন্নাহকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে। এছাড়া মামলার আরও বাকি তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
অন্য আসামিরা হলো- ওই গ্রামের মৃত দারোগা আলীর ছেলে হযরত আলী (৫৮) ও আব্দুর রশিদ (৪৮) এবং হযরত আলীর ছেলে সবুজ (৩২)।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার রাতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুটি (১৪) তার বৃদ্ধা দাদির কাছে শুয়েছিল। গভীর রাতে প্রতিবেশী হযরত আলীর ছেলে সবুজ (৩২) ভাঙ্গা জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন মামলা করার চেষ্টা করলে ইউপি সদস্য জিন্নাহসহ গ্রামের কতিপয় মাতব্বর বাধা দেয়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষক সবুজ ও ইউপি সদস্য জিন্নাহসহ চারজনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়। শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
আগামী ১৩ অক্টোবর তাকে জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
শেষে চার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
পিকে হালদারের আরও দুই নারী সহযোগী আটক
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
ধর্ষণ মামলায় খুলনার এক আদালত আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া সন্তানকে বাবার পরিচয় দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. সালাম খান এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালী ও ভুক্তভোগী মহানগরীর ছোট বয়রা গোলদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীকে আসামি বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে একই বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে আসামি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসালাম ঢালীকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সোনাডঙ্গা থানার এসআই মুনসুর শফিকুল ইসলাম ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি রফিকুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। ধর্ষণের ফলে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে আজ তার বয়স ১২ বছর। এ রায়ের মাধ্যমে ওই সন্তান পিতৃ পরিচয় পেয়েছে। এটা তার জন্য বড় প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন