প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
আগামী ১৩ অক্টোবর তাকে জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
শেষে চার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু