ক্রিকেট
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল টাইগাররা
তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়ে মাঠে নেমেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছে ভারতের বোলাররা। ফলে অল্প রানেই টাইগারদের বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা।
গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমে ভারতকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শুরুতে ব্যাট করে এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
দলের হয়ে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৭। এছাড়া বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১২।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের ‘তুরুপের তাস’ হবে কে?
এদিন ব্যাট হাতে বলতে গেলে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি।
ইনিংসের প্রথম ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের চতুর্থ বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেই পরের বলে কভার অঞ্চলে রিংকু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস।
দলীয় তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে বোল্ড করে ফেরান আর্শদীপ।
এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত। তবে ১২ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান হৃদয়ও। পাঁচ নম্বরে মাহমুদুল্লাহ ক্রিজে আসার পর টাইগার সমর্থকরা লম্বা ইনিংসের আশা করলেও মাত্র ১ রান করে অভিষিক্ত মায়াঙ্ক যাদবের বলে আউট হন তিনি। ফলে ৪৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারত সিরিজ দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু চান শান্ত
এরপর দলীয় ৫৭ রানের মাথায় জাকের আলী আউট হলে মিরাজের সঙ্গে কিছুক্ষণ খেলে ৭৫ রানের মাথায় ফিরতে হয় শান্তকেও। অবশ্য ফেরার আগে তখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
উইকেটের একপাশ আগলে রাখা মিরাজকে ১১ ও ১২ রান করে তুলে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ফেরেন যথাক্রমে রিশাদ ও তাসকিন। এরপর শরীফুল শূন্য ও মোস্তাফিজ এক রান করে আউট হলে ১২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। অন্যপ্রান্তে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
ভারতের হয়ে এদিন ছয়জন বোলিং করেছেন। তার মধ্যে নীতিশ রেড্ডি ছাড়া সবাই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ ও বরুণ।
৪৩৫ দিন আগে
ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের ‘তুরুপের তাস’ হবে কে?
গোয়ালিয়রে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোববার সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংষ্করণে এক খেলোয়াড়ের পারদর্শিতায় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে। আর ভারতের বিপক্ষে এমন কেউ এগিয়ে আসুক, তা মনেপ্রাণে চাইবে টাইগারভক্তরা।
এক্ষেত্রে তৌহিদ হৃদয় ও রিশাদ হোসেনের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকবে কিছুটা বেশি। এ দুজনই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে নিজেদের প্রমাণ করেছেন।
তৌহিদের বিগ হিটিংয়ের সক্ষমতা সমর্থকদের দৃষ্টি কাড়তে সময় নেয়নি। অন্যদিকে, লেগ স্পিন ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্যাট হাতে দলের চাপ কমিয়ে এরইমধ্যে টাইগারদের অন্যতম আস্থার নাম হয়ে উঠেছেন রিশাদ।
আরও পড়ুন: ভারত সিরিজ দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু চান শান্ত
ভারত সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টিতে ১৪ বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তবে ফলাফলের পরিসংখ্যানটা খুব বেশি আশাজনক নয়। ১৪ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে টাইগাররা।
তবে তরুণদের সুযোগ দিয়ে মূল দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়ায় অভিজ্ঞতার বিচারে এবার ভারতের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে যাওয়া ভারতের এই দলটি টি-টোয়েন্টিতে সম্মিলিতভাবে ৪০০’রও কম ম্যাচ খেলেছে, যেখানে ৬০০’র বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
অবশ্য মাঠের খেলায় অভিজ্ঞতার এই পার্থক্য ভারতকে খুব কমই প্রভাবিত করবে, কারণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলটির খেলোয়াড়রা তরুণ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের অভিজ্ঞতা একেবারেই কম নয়।
ফলে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে রেকর্ডে উন্নতি করতে হলে তৌহিদ-রিশাদের মতো খেলোয়াড়ের এগিয়ে আসার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের বিকল্প কে?
এ পর্যন্ত ২৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৬০০ রান সংগ্রহ করেছেন তৌহিদ। অপরদিকে, ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বল করে ২৯টি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ১০ উইকেট তোলেন রিশাদ। টুর্নামেন্টের শীর্ষ বোলারদের একজন ছিলেন এই তরুণ।
টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় ভারতের বিপক্ষে সাকিবের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দলে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ফলে তার অনুপস্থিতি নিশ্চয়ই অনুভব করবে দল। তবে পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিবের শূন্যতা পূরণ করতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ বিষয়ে মেহেদীর ওপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করছে এই শহরটি।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে গোয়ালিয়রে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ
৪৩৫ দিন আগে
ভারত সিরিজ দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু চান শান্ত
পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করার পর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে টেস্টের হারের দৃঃস্মৃতি পেছনে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার ব্যাপারে আশার বাণী শুনিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (রবিবার)। তার আগে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভালো করার প্রত্যয় ঝরেছে শান্তর কণ্ঠে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, টেস্টে আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। তাই এই মুহূর্তে আগে কী হয়েছে সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না; সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই, এই সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি পুরো ভিন্ন বলের খেলা। নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো খেলবে সে–ই জিতবে।’
‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনি কিছুই অনুমান করতে পারবেন না। ম্যাচের দিন যে দল ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, সব বিভাগে ভালো করবে, তারা জিতবে। এখানে বড় নাম, ছোট নাম বলে কিছু নেই। ওইদিন ভালো ক্রিকেট খেলাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের বিকল্প কে?
গোয়ালিয়রের মাঠ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মাঠটি নতুন, তেমন কোনো ধারণা নেই মাঠটি নিয়ে। তবে গত কয়েকদিন আমরা অনুশীলন করেছি। উইকেট কেমন হতে পারে তা নিয়ে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক দল হিসেবে যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নিতে হবে। আশা করছি, ভালো ক্রিকেট উপহার দিতে পারব।’
ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজকে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে দেখছেন শান্ত।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘আমার মনে হয় এ সিরিজে কিছু খেলোয়াড় আছে, সে সংখ্যাটা চার বা পাঁচের মতো যারা ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে। সুতরাং, আমার মনে হয় এ সিরিজ দিয়ে আমাদের প্রস্তুতি সঠিকভাবে শুরু হচ্ছে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের বিপক্ষে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন শান্ত। এমনকি সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
‘সত্যি বলতে আমরা সিরিজটি জিততে চাই। আক্রমাণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই। আপনি যদি (গত) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে নজর দেন, তাহলে দেখবেন আমরা সেমিফাইনাল খেলার অনেক কাছে ছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এবার আমাদের নতুন দল। আমি আশা করব, সব ক্রিকেটার ভালো খেলা উপহার দেবে।’
আরও পড়ুন: বিপিএলে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রংপুর
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাবেন, আমাদের খেলোয়াড়রা নতুন এক পদ্ধতিতে খেলা শুরু করবে। সবাই জেতার জন্য খেলে।’
হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠনগুলোর আন্দোলনের মুখে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ ঘিরে গোয়ালিয়রকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও আশঙ্কা এড়াতে একগুচ্ছ নির্দেশনাও জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এসবের মাঝেই রবিবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১২ অক্টোবর যথাক্রমে দিল্লি ও হায়দরাবাদে।
৪৩৬ দিন আগে
বিপিএলে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রংপুর
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও বিশ্বজুড়ে ঘরোয়া লিগগুলোতে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা আগেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন টুর্নামেন্টে তার অংশগ্রহণ করা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাকিবের দেশে আসা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন সবার মনেই। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে, জালিয়াতির অভিযোগে গুনতে হয়েছে জরিমানাও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একদমই তার অনুকূলে নেই।
এরই মাঝে আগামী ডিসেম্বরে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের পরবর্তী আসর। ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। তার আগে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সাতটি দলকে তাদের রিটেইন ও ডাইরেক্ট সাইনিং লিস্ট জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের বিকল্প কে?
গত আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। এবারের আসরেও রংপুর রাইডার্স তাকে পাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম। সম্ভব হলে সাকিবকে নিয়েই বিপিএল খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে তানিম বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটার, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। ডাউট (সন্দেহ) আছে তার এভেইলেবেলেটি (প্রাপ্যতা) নিয়ে। এটা আমার হাতে নাই। নির্ভর করছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি খেলতে আসেন কিনা। এখানে আসলে একটা বড় ছবি পাওয়া যাবে যে হয়তো পরে বিপিএলও খেলতে আসবেন। উনার অবস্থার ওপর নির্ভর করবে রাখতে পারব নাকি না।’
আরও পড়ুন: খেলোয়াড় হিসেবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু নিরাপত্তা পাবেন সাকিব আল হাসান: ক্রীড়া উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই, সাকিবকে ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। রাজনীতিবিদ হিসেবেও চিনি না বা ব্যক্তিগত জীবনে কী করেন বা কী ব্যবসা করেন- এটা আমার আইডিয়া নাই। ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটার সাকিবের যদি কোনো খুঁত দেখতে চাই, এটা সম্ভব না। ক্রিকেটের ম্যানেজম্যান্ট বলেন, ফ্যান বলেন আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশের কোনো মানুষ নেই যে চায় না সাকিব বিপিএল খেলুক; এটা আমরাও চাই। আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, বিপিএলের জন্য হোক, বাংলাদেশের জন্য হোক; সাকিব আল হাসান সবসময় সম্পদ।’
৪৩৬ দিন আগে
মুলতানে প্রথম টেস্ট খেলা হচ্ছে না স্টোকসের
চোট থেকে ফিরে পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্ট খেলার যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বেন স্টোকস, শেষ পর্যন্ত তা হয়ে উঠছে না। চোট কাটিয়ে উঠলেও ম্যাচ খেলার মতো পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়ক।
গত আগস্টে ‘দ্য হান্ড্রেড’ খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় স্টোকসকে। তারপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলা হয়নি ৩৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের।
কিছুদিন আগে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তানে সফরে তারা খেলার সম্ভাবনা বাড়ছে। তবে শেষ পর্যন্ত সিরিজ শুরু করা হয়ে উঠছে না তার।
আরও পড়ুন: ইংলিশ ক্রিকেটের তিন সংস্করণেরই দায়িত্বে ম্যাককালাম
বিবিসি স্পোর্টসকে স্টোকস বলেন, ‘(প্রথম টেস্ট) খেলার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু শরীর সায় দিচ্ছে না।… খেলতে না পারাটা সবসময়ই হতাশার। তবে এই ম্যাচটি না খেলতে পারলেও (মাঠে ফেরার জন্য) নিজের লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করছি।’
মুলতানে তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে সোমবার। এর আগে শুক্রবার সেখানে প্রথম অনুশীলন করে ইংল্যান্ড দল। এদিন শুরুতে আলাদাভাবে অনুশীলনের পর নেটে কিছুক্ষণ ব্যাটিং করেন স্টোকস। এরপর কিছুক্ষণ বোলিংও করেন তিনি, তবে পূর্ণ গতি পাচ্ছিলেন না। এরপর প্রথম টেস্টে না থাকার কথা জানান তিনি।
স্টোকসের অনুপস্থিতিতে কপাল খুলেছে ডানহাতি পেসার ব্রাইডন কার্সের। এখন পর্যন্ত ১৯টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি খেললেও থ্রি লায়ন্সের জার্সিতে লাল বলের ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি তার। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেই অভিষেক হতে যাচ্ছে ২৯ বছর বয়সী এই পেসারের।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
প্রথম টেস্টের দুদিন আগে একাদশ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। এই টেস্টে দুই স্পিনার জ্যাক লিচ ও শোয়েব বাশিরকে দলে রেখেছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এছাড়া আঙুলের চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ওপেনার জ্যাক ক্রলি। ঊরুর সমস্যা কাটিয়ে প্রথমবার দেশের বাইরে টেস্ট খেলবেন পেসার গাস অ্যাটকিনসনও।
ইংল্যান্ড একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ (অধিনায়ক), জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ, ক্রিস ওকস, গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স, জ্যাক লিচ ও শোয়েব বাশির।
৪৩৬ দিন আগে
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের বিকল্প কে?
দীর্ঘদিনের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই আগামী ৬ অক্টোবর থেকে টি-টোয়েন্টির লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ দল। সম্প্রতি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ক। তার এই ঘোষণা দলের ওপর ফেলেছে বাড়তি চাপ, রেখে গেছে কঠিন এক প্রশ্ন- টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কে হবেন সাকিবের বিকল্প?
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার কথা ছিল সাকিবের। তবে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সবাইকে চমকে দিয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব।
পরে তার জায়গায় মেহেদী হাসান মিরাজকে দলে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এই ফরম্যাটে সাকিবের অভাব পূরণ করতে পারেন মিরাজ? সত্যিই কি সাকিবের বিকল্প হতে পারবেন তিনি?
সাকিব ১২৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে আড়াই হাজারের বেশি রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪৯টি। অন্যদিকে মেহেদি মাত্র ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে ২৪৮ রান এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪টি।
এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে সাকিবের তুলনা কেবল সাকিবই। মিরাজ সাকিবের মতো স্পিনিং অলরাউন্ডার হলেও সাকিবের জায়গায় পৌঁছানো মিরাজের পক্ষে সহজ হবে না।
সাকিব চলে যাওয়ায় যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তা মিরাজ মোকাবিলা করতে পারবেন বলে আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি মিরাজকে সাকিবের বিকল্প মানতে নারাজ।
শান্ত বলেন, ‘এখন মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন হবে। প্লেয়িং ইলেভেন সাজাতে কিছুটা চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। সাকিব ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ব্যালেন্স করতে পারত। আমরা মিরাজকে দলে এনেছি, আশা করছি সে দ্রুত এই ভূমিকায় মানিয়ে নেবে।
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও একই মনোভাব প্রকাশ করলেন। সাকিবের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
বিস্ময়করভাবে দুই দিন খেলে হেরে যাওয়া কানপুর টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে সাকিবের হঠাৎ অবসরের ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সাকিব আছেন ফর্মে, যে কারণে বিদেশে বিভিন্ন লিগগুলোতে খেলা সুযোগ মিলছে তার। বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে ভালো পারফর্ম করার মতো কাউকে খুঁজে পেলেও সাকিবের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে বেশ খানিকটা সময়ের জন্য দলকে অস্বস্তিতে ভোগাবে।
৪৩৬ দিন আগে
ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে গোয়ালিয়রে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ
আগামী ৬ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে গোয়ালিয়রে বিক্ষোভ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বিষয়বস্তু প্রচার নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এই নিষেধাজ্ঞা ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
হিন্দু মহাসভা নামের একটি রাজনৈতিক দল ম্যাচের দিন বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। তারা এর আগেও একই দাবি তুলে অভিযোগ করেছিল যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশ দলের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচের সময়ও একই ধরণের হুমকির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গোয়ালিয়রে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য দেড় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গোয়ালিয়রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুচিকা চৌহান ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) একটি আইনের অধীনে এই নিষেধাজ্ঞামূলক নির্দেশ জারি করেছেন।
তিনি জানান, বিভিন্ন ডানপন্থী সংগঠন ম্যাচ বাতিলের দাবি জানিয়ে মিছিল এবং অন্যান্য বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জেলায় যে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক কিছু শেয়ার করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ থাকবে আপত্তিকর বিষয়বস্তু সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার এবং কাটআউট।
কিছু ডানপন্থী গোষ্ঠী বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের গণআন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। তার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
৪৩৭ দিন আগে
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা
চলমান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে গত চার আসরের হতাশা ঘোচানোর প্রত্যয় ঝরেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানার কণ্ঠে। প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সেই আশার বাতি আরও একটু জ্বেলে দিল দেশের মেয়েরা।
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বাধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে দুটি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন সোবহানা মোস্তারি। এছাড়া ওপেনার সাথী রানী ২৯ এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা করেন ১৮ রান।
স্কটিশদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সাস্কিয়া হর্লি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস, অলিভিয়া বেল ও ক্যাথরিন ফ্র্যাজার।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়াল আইসিসি
১২০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তুলতে সমর্থ হয় স্কটল্যান্ডের মেয়েরা।
স্কটল্যান্ডের হয়ে অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ রান সংগ্রহ করেন ওপেনার সারাহ ব্রাইস। তিনি ছাড়া আর মাত্র দুজন ব্যাটার ১১ রান করে করতে পেরেছেন। বাকিদের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন রিতু মনি। এছাড়া একটি করে উইকেট গিয়েছে মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও রাবেয়া খানের ঝুলিতে।
বিশ্বকাপের শুরুতেই জিতে নিশ্চিতভাবেই খানিকটা আত্মবিশ্বাস বাড়বে নিগার সুলতানার দলের। আগামী শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাঘিনীরা।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অপর প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী ১০ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১২ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামবে নিগার সুলতানা অ্যান্ড কোং।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১১৯/৭ (নিগার ৩৬, সাথী ২৯; হর্লি ৩/১৩)।
স্কটল্যান্ড: ১০৩/৭ (সারাহ ব্রাইস ৪৯*, ক্যাথরিন ১১, আইলসা লিস্টার ১১; রিতু ২/১৫, মারুফা ১/১৭, নাহিদা ১/১৯)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিতু মনি।
৪৩৮ দিন আগে
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ জয়াবিক্রমা
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার একাধিক ধারা ভাঙায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রবীন জয়াবিক্রমা।
তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি আরেক খেলোয়াড়কে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার বিবরণ দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ফিক্সিং-বিষয়ক কথোপকথন মুছে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত আগস্ট মাসে জয়াবিক্রমার বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও বুধবার (২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার শাস্তির বিষয়টি প্রকাশ করে আইসিসি।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়াল আইসিসি
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইনে বলা আছে, কোনো ক্রিকেটার যদি জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানো কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান, তাহলে দ্রুত তা আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। তা না করলে বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী এই ধারা ভাঙার শাস্তি সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
জয়াবিক্রমাকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের শাস্তি স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম ছয় মাস নিষেধাজ্ঞা চলাকালে নতুন করে আর কোনো অপরাধ না করলে বাকি সময়ের শাস্তি এড়াতে পারবেন তিনি। এতে করে আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে ফের মাঠে ফিরতে পারবেন তরুণ এই স্পিনার।
আগস্টে জয়াবিক্রমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে আইসিসি। সে সময় অভিযোগের জবাব দিতে তাকে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়। ৬ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়। শুরুতে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
২০২১ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় জয়াবিক্রমার। এরপর থেকে লঙ্কানদের জার্সিতে তিনি ৫টি করে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
সর্বশেষ ২০২২ সালের জুনে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেন জয়াবিক্রমা। বাঁহাতি এই স্পিনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের মে মাসে, বাংলাদেশের বিপক্ষে।
৪৩৮ দিন আগে
টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার সবুজ সংকেত
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসতে রাজি হয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
সম্প্রতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জরুরি প্রোটোকল খতিয়ে দেখতে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার অপারেশন্স ম্যানেজার, টিম সিকিউরিটি ম্যানেজার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ও সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
এর আগে নিরাপত্তা শঙ্কায় আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বিসিবি। আনুষ্ঠানিক সূচি অনুযায়ী, ২১ অক্টোবর থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে ১৬ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।
২৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
আরও পড়ুন: কানপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
৪৪১ দিন আগে