ক্রিকেট
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
আবরার আহমেদের অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারিটি জোরালো ড্রাইভে সীমানাছাড়া করলেন সাকিব আল হাসান, সঙ্গে সঙ্গে অন্যপ্রান্ত থেকে গর্জন করে উঠলেন মুশফিকুর রহিম। উল্লাস শোনা গেল ড্রেসিং রুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তসহ বাকি সবারও। সব মিলিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, এক কথায় তা ‘পাকিস্তানের বুকে বাংলাদেশের বিজয় উল্লাস’।
হ্যাঁ, পাকিস্তানকে তাদের মাটিতেই হোয়াইটওয়াশ করে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করেছে টাইগাররা।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠেই প্রথম ম্যাচে তারা জেতে ১০ উইকেটে।
প্রথম টেস্ট জেতায় সিরিজ জয় করতে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে হার এড়ালেই চলত বাংলাদেশের। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে খেলা শুরু হলে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ একাই পাঁচ উইকেট নেন, আর সাকিব তিন উইকেট নিলে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৪ রানে থামল পাকিস্তান
দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ১০ রান সংগ্রহ দিনের খেলা শেষ করলেও পরের দিন সকালটা দুঃস্বপ্নের মতো শুরু হয় বাংলাদেশের। দলীয় ২৬ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখতে থাকে টাইগাররা। তবে ধ্বংস্তুপে দাঁড়িয়ে আশার ফুল ফোটান লিটন দাস ও মিরাজ। বল হাতে পাকিস্তানের ৫ উইকেট তোলার পর ব্যক্তিগত ৭৮ রান করে লিটনের সঙ্গে রেকর্ড গড়া জুটিতে বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে বড় ভুমিকা রাখেন মিরাজ। অন্য প্রান্তে ১৩৮ রান করে দলকে মাত্র ১২ রান দূরে রেখে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে লিটন বিদায় নিলে বাংলাদেশও থামে ২৬২ রানেই। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে বল হাতে অসাধারণ পারফর্ম করেন পাকিস্তানের খুররাম শাহজাদ। একাই ৬ উইকেট নিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন-আপ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে বোলিং ঝলক দেখায় বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম ইনিংসে স্পিনাররা দাপট দেখালেও দ্বিতীয় ইনিংসে দশ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন পেসাররা। টেস্টে এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররাই সবগুলো উইকেট নিলেন। এর মধ্যে হাসান মাহমুদের ফাইফার এবং আগুনে বোলিংয়ে নাহিদ রানা চার উইকেট নিলে লিড বেশি বড় করতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তারা মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে গেলে সব মিলিয়ে ১৮৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। এই ইনিংসে ১৫২ কিলোমিটার গতির বল করে বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিসম্পন্ন বোলারও হয়ে যায় ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলতে নামা ২১ বছর বয়সী পেসার নাহিদ।
৪৬৮ দিন আগে
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পেসাররা
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।
চলমান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই ইনিংস জয় পেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে পারবে টাইগাররা। চতুর্থ দিন বিকালে বাজে আলোয় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জোড়া সেঞ্চুরিতে কুককে ছাড়িয়ে একাধিক রেকর্ডে রুট
এর আগে স্বাগতিকরা ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ খেলেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। গড়েন ডাবল রেকর্ড- নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশি কোনো পেসারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
অন্যদিকে তরুণ পেসার নাহিদ রানাও খেললেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। তাতে মনে হচ্ছিল এবারের ইনিংসেও স্পিনারদের দাপট দেখা যাবে কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে স্পিনারদের হারিয়ে দিলেন পেসাররা। পাকিস্তানকে অলআউট করলেন পেসাররাই।
এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশের পেসারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল টেস্ট ইনিংসে নয় উইকেট নেওয়া। চারবার এই সাফল্য পেয়েছিলেন তারা- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার।
এবার সেসব রেকর্ড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পেসাররা নিয়ে নিলেন ১০ উইকেট। যা বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেখা যাক সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো এবারও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় কি না টাইগাররা। সেটি হয়ে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নামের পাশে যুক্ত হতে পারে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
আরও পড়ুন: হাসানের জোড়া শিকারে দিনের শেষটাও রাঙাল বাংলাদেশ
অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
৪৬৯ দিন আগে
হাসানের জোড়া শিকারে দিনের শেষটাও রাঙাল বাংলাদেশ
লিটন দাসকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের দুই উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিনের শেষটা রাঙিয়ে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা পাকিস্তান তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৩.৪ ওভারে ৯ রান করতে গিয়েই ২ উইকেট হারিয়েছে। ফলে ২১ রানে এগিয়ে থেকে আগামীকাল চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের উইকেটের খাতা খুলেছেন হাসান।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হাসান মাহমুদ খুররাম শাহজাদকেও ফিরিয়ে দিলে তৃতীয় দিনের মতো খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
আরও পড়ুন: অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
এর আগে, বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন টস জিতে স্বাগতিকদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে ব্যাটিং করে ৮৫.১ ওভার খেলে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
১০ রান উইকেটশূন্য থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করলেও তৃতীয় দিন নেমেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে লিটন দাসের ১৩৮ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৮ রানে ভার করে দিনের শেষভাগে এসে ২৬২ রানে গুটিয়ে গেলে ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার; সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭ ও সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১ ও তাসকিন ৩/৫৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ১০/০) ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার; লিটন দাস ১৩৮, মেহেদী মিরাজ ৭৮; শাহজাদ ৬/৯০, হামজা ২/৫০, সালমান ২/১৩)।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৯/২ (৩.৪ ওভার; সাইম আইয়ুব ৬*, আব্দুল্লাহ শফিক ৩; হাসান মাহমুদ ২/৩)।
৪৭০ দিন আগে
অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে লিটন দাস যখন ক্রিজে আসলেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬ রান, ৬ উইকেটের বিনিময়ে। এমন বিপর্যয়কালে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে চোয়াল শক্ত করে খেলে গেলেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেকে সামান্য পিছিয়ে থেকে ভাঙল তার প্রতিরোধ।
লিটনের অনবদ্য শতক ও সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের সুবাদে ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ফলে ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করেছে পাকিস্তান।
এদিন ব্যাট হাতে লিটন করেছেন সর্বোচ্চ ১৩৮ রান, আর মিরাজ ৭৮ রান করে ফিরে যান। বাকি ব্যাটারদের কেউই বলার মতো রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেননি। তবে লিটনকে শেষ পর্যন্ত ভালো সঙ্গ দিয়ে গেছেন হাসান মাহমুদ।
এর আগে, ধ্বংস্তুপে মুষ্টি শক্ত করে দাঁড়িয়ে একে একে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন ও মিরাজ। তাদের জুটিতে আশার আলো দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর ১৬৫ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন মিরাজ। এর আগে অবশ্য রেকর্ডও করে ফেলেন তারা।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চাশের নিচে ৬ উইকেট পড়ার পর এই প্রথম কোনো জুটি দেড় শতাধিক রান করল। এর আগের কীর্তিটি ছিল অবশ্য পাকিস্তানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১১৫ রানের জুটি গড়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও কামরান আকমল।
আরও পড়ুন: মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৪ রানে থামল পাকিস্তান
এদিকে, মিরাজকে ফিরিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফারের দেখা পেয়েছেন খুররাম শাহজাদ। শুধু তাই নয়, একাই ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মির হামজা ও আগা সালমান।
মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর তাসকিনকেও বিদায় করেন খুররাম। তবে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ। লিটন অবশেষে ২২৮ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৮ রান করে ফিরে যাওয়ার দুই বল পর লেগ বিফোরের ফাঁদি পড়ে আউট হন নাহিদ রানাও। তবে ৫১ বল মোকাবিলা করে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার; সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭ ও সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১ ও তাসকিন ৩/৫৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ১০/০) ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার; লিটন দাস ১৩৮, মেহেদী মিরাজ ৭৮; শাহজাদ ৬/৯০, হামজা ২/৫০, সালমান ২/১৩)।
৪৭০ দিন আগে
জোড়া সেঞ্চুরিতে কুককে ছাড়িয়ে একাধিক রেকর্ডে রুট
শ্রীলংকার বিপক্ষে চলমান লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে রেকর্ড ছুয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হালের ব্যাটিং লাইন-আপের অন্যতম আস্থার নাম জো রুট। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করে সেই রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। ভেঙে দিয়েছেন রেকর্ড।
টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে মোট ৩৪ সেঞ্চুরি করেছেন এই ব্যাটার। এর ফলে স্যার অ্যালিস্টার কুককে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা ইংলিশ ব্যাটার হয়ে গেছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানের ইনিংস খেলার পথে ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরিতে কুকের পাশে বসেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সবাইকে ছাড়িয়ে চূড়ায় উঠেছেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে মালান
শুধু তা-ই নয়, এক যুগের টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে কখনোই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। এবার তা করে ইংল্যান্ডের এমন কীর্তি করা দ্বাদশ ক্রিকেটার বনে গেলেন তিনি। তবে লর্ডসে এই রেকর্ড আছে তিনি ছাড়া কেবল তিনজনের; ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হেডলি এবং ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ ও মাইকেল ভন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন এই মাঠে।
এর সঙ্গে আরও একটি দারুণ ব্যাপার ঘটেছে রুটের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে শতকের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি।
লর্ডসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির (৭টি) রেকর্ডও এখন রুটের। আজকের সেঞ্চুরিতে তিনি টপকে গেছেন গুচ ও ভনকে (৬টি করে)। পাশাপাশি এই মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গুচের ২ হাজার ১৫ রান ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের ১০৩ রানে বর্তমানে লর্ডসে তার রান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২-এ।
দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ব্যাটার হিসেবে রুট আউট হলে ২৫১ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। এতে প্রথম ইনিংসের ২৩১ রানের লিড মিলিয়ে লঙ্কানদের ৪৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে থ্রি লায়ন্স।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
৪৭১ দিন আগে
মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৪ রানে থামল পাকিস্তান
পাকিস্তানের রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে যে শুভ সূচনা করেছিলেন তাসকিন আহমেদ, দিনের শেষে এসে তাতে পূর্ণতা এনে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামিয়েছেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন টস জিতে স্বাগতিকদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে ব্যাটিং করে ৮৫.১ ওভার খেলে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ২৭৪ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
পরে দুই ওভারে উইকেট না হারিয়েই ১০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম ৯ বলে একটি চারের সাহায্যে ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অন্যপ্রান্তে তিন বল মোকাবিলা করে রানের খাতা খুলতে পারেননি জাকির হাসান।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। এছাড়া তৃতীয় ব্যাটার শান মাসুদ ৫৭ এবং সাত নম্বরে নেমে ৫৪ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন আগা সালমান।
অপরদিকে, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। এছাড়া, তাসকিন তিনটি এবং সাকিব ও নাহিদ রানা একটি করে উইকেট তুলেছেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভেসে গেল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন
এদিন, প্রথম ওভারটি মেইডেন দিয়ে শেষ বলে পাকিস্তানি ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকবে বোল্ড করে দেন তাসকিন। এরপর অধিনায়ক শান মাসুদের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। তবে দুই ব্যাটারই ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরই পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথ দেখানো জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। মাসুদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠানোর পর সাইমকেও বিদায় করেন তিনি। মিরাজের বলে এগিয়ে এসে ব্যাট চালাতে গিয়ে মিস করলে তড়িৎ গতিতে উইকেট ভেঙে দেন লিটন দাস। ফলে ১০৭ রানে দ্বিতীয় ও ১২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মূলত দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙার পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। এই ধারাবাহিকতায় ১৫১ রানের মাথায় সৌদ শাকিলকে (১৬) বোল্ড করে দেন তাসকিন। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটির গড়ার চেষ্টা করলেও ১৭৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩১ রান করে ফিরতে হয় বাবর আজমকে। সাকিবের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে আগা সালমানের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। নাহিদের বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্ট স্কোয়াডে শক্তি বাড়াল পাকিস্তান
তবে ব্যাটিংয়ে এসে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন সালমান। রিজওয়ান ফিরে গেলেও পরবর্তী ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তি অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। মাঝে মিরাজের বলে খুররাম শেহজাদ (১২) ও মোহাম্মদ আলী (২) আউট হয়ে ফেরার পর ৫৪ রান করে অবশেষে তাসকিনের বলে তিনি ফিরে গেলে ইনিংস গোটানো ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে সময় একেবারেই নষ্ট করেননি মিরাজ। ৮৫তম ওভারের শেষ বলে সালমান আউট হলে পরের ওভারের প্রথম বলেই আবরার আহমেদকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের দশম ফাইফার পূর্ণ করেন তিনি।
এর মাধ্যমে মোহাম্মদ রফিকের পর পাকিস্তানের মাটিতে ৫ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার বনে যান মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার; সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭ ও সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১ ও তাসকিন ৩/৫৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১০/০ (২ ওভার) (সাদমান ৬* ও জাকির হাসান ০*)।
৪৭১ দিন আগে
বৃষ্টিতে ভেসে গেল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন
বিরূপ আবহাওয়ায় রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার কিছুক্ষণ পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময় (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টায় টস এবং ১১টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে টসই করা সম্ভব হয়নি। ফলে ম্যাচটি এখন চার দিনের খেলায় রূপ নিল।
গত দুদিন ধরে রাওয়ালপিন্ডিতে টানা বৃষ্টি ঝরে চলেছে। শুক্রবারও যে আবহাওয়া ভালো থাকবে না, তা আগেই জানিয়েছিল দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
এদিন বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে শুরুতে টস পিছিয়ে যায়। এর মাঝে আম্পায়াররা একবার মাঠ পর্যবেক্ষণের সময় নির্ধারণ করেন, তবে বৃষ্টি না থামায় মাঠেই নামা হয়নি তাদের।
এর ফলে বাকি দিনগুলোতে ৩০ মিনিট করে অতিরিক্ত সময় খেলিয়ে প্রথম দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্ট স্কোয়াডে শক্তি বাড়াল পাকিস্তান
প্রসঙ্গত, প্রথম টেস্টের প্রথম দিনও বৃষ্টির বাগড়ায় টস হতে দেরি হয়। তবে সেদিন অল্প সময়ের মধ্যেই বৃষ্টি শেষ হয়ে যাওয়ায় ৪১ ওভার খেলা হয়েছিল।
প্রথম টেস্ট ১০ উইকেটে জিতে ইতোমধ্যে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে তাই শুধু হার এড়াতে পারলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় নিশ্চিত করবে টাইগাররা।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জেতা হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশের। টেস্টে তাদের সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই দ্বিতীয় টেস্টে হার এড়াতে পারলেই সিরিজ জয়ের তালিকাটি আরেকটু লম্বা করতে পারবে টাইগাররা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
৪৭২ দিন আগে
দ্বিতীয় টেস্ট স্কোয়াডে শক্তি বাড়াল পাকিস্তান
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাই দ্বিতীয় টেস্টের আগে স্কোয়াড শক্তিশালী করছে তারা।
রাওয়ালপিন্ডিতেই দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে শুক্রবার (৩০ আগস্ট)। তার আগেই এই ম্যাচের জন্য দলে ডাক পেয়েছেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ, পেস অলরাউন্ডার আমির জামাল ও ব্যাটার কামরান গুলাম। এছাড়া ছুটিতে যাওয়া শাহিন শাহ আফ্রিদিকেও স্কোয়াডে ফেরানো হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দ্বিতীয় টেস্টের জন্য পাকিস্তানের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। এতে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তবে এই তিন খেলোয়াড়কে যুক্ত করা হলেও প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
শুরু থেকেই পাকিস্তান স্কোয়াডে ছিলেন আবরার ও কামরান। তবে প্রথম টেস্টের আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তাদের ছেড়ে দেয় পিসিবি। আর আমির জামাল বাদ পড়েন ইনজুরির কারণে। তাবে ফেরানো হলেও দ্বিতীয় টেস্টে তার খেলা নির্ভর করছে ফিটনেসের ওপর।
এছাড়া, প্রথম টেস্ট চলাকালে বাবা হন শাহিন আফ্রিদি। গুঞ্জন ছিল দ্বিতীয় টেস্টে তিনি না-ও খেলতে পারেন। তবে দশ উইকেটে হারের পর বদলে গেছে পরিস্থিতি। তাই প্রথম টেস্ট শেষে ছুটিতে গেলেও মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি আবার দলে ফিরে এসেছেন।
প্রথম টেস্ট একাদশে কোনো স্পিনার না রেখেই সর্বাত্মক পেস আক্রমণ নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে এই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে চমক দেখায় স্পিনাররা। তাই দ্বিতীয় টেস্টের জন্য আবরারকে ফিরিয়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে এই লেগ স্পিনারের রেকর্ডও দারুণ। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মাঠে পাঁচটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ১৭ দশমিক ২৫ গড়ে মোট ৪০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
পাকিস্তান স্কোয়াড: শান মাসুদ (অধিনায়ক), সৌদ শাকিল (সহ-অধিনায়ক), আমির জামাল (ফিটনেস সাপেক্ষে), আবরার আহমেদ, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম, কামরান গুলাম, খুররাম শাহজাদ, মির হামজা, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ হুরাইরা, মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলী আগা, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
৪৭৪ দিন আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে মালান
৩৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন ইংলিশ ব্যাটার ডাওইড মালান।
বুধবার (২৮ আগস্ট) অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে দেখা যাবে।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া একটি অসাধারণ যাত্রা শেষ হলো। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই খেলতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’
‘ইংল্যান্ডের বিভিন্ন দলের কোচ ও কর্মীরা, যারা আমাকে সহযোগিতা ও সমর্থন করেছেন এবং এই সাত বছরে পাওয়া আমার সব ইংল্যান্ড সতীর্থ- সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শিখর ধাওয়ানের বিদায়
ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি করা মাত্র দুই ইংলিশ ব্যাটারদের মধ্যে মালান একজন। তিনি ছাড়া এই কীর্তি আছে কেবল জস বাটলারের। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ডও তার। মাত্র ২৪ ম্যাচে এক হাজার রান সংগ্রহ করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি ২২টি টেস্ট ৩০টি ওয়ানডে ও ৬২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ২২ টেস্টের ৩৯ ইনিংস খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ৯ ফিফটিতে তার সংগ্রহ ১ হাজার ৭৪ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০ ইনিংসে ৬ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে ৫৫.৭৬ গড়ে তিনি করেন ১ হাজার ৪৫০ রান। আর টি-টোয়েন্টির ৬০ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে মালানের সংগ্রহ ১ হাজার ৮৯২ রান।
২০২০ সালে তিনি টি-টোয়েন্টির ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। এরপর ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেন মালান।
৪৭৪ দিন আগে
প্রাইজমানি বন্যার্তদের দিলেন মুশফিক-লিটন
পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে এর প্রাইজমানি বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া নিজের পুরস্কারের অর্থ বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন লিটন দাসও।
১৩ ম্যাচ পর অবশেষে টেস্টে পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন মুশফিক। ফলে ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার।
ম্যাচসেরার পুরস্কার হিসেবে সুদৃশ্য একটি ট্রফির পাশাপাশি ৩ লাখ পাকিস্তানি রুপি পেয়েছেন মুশফিক। পরে সেই অর্থ মানুষের সহায়তায় দান করার ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে নিহতদের জয় উৎসর্গ করলেন শান্ত
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচে তার অবদানের পেছনে থাকা মানুষগুলো ও দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন মুশফিক। এরপর সঞ্চালক বাজিদ খানকে তিনি বলেন, ‘বাজিদ ভাই, আমার দলের পক্ষ থেকে আমি একটি অনুরোধ করতে চাই; কিছু বলতে চাই। আপনি জানেন, আমাদের দেশে অনেক মানুষ এখন বন্যাক্রান্ত। আমি এই প্রাইজমানি তাদের জন্য দিতে চাই। পাশাপাশি দেশে ও বাইরের সবাইকে অনুরোধ করব, যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যাতে এগিয়ে আসে।’
অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে আগ্রাসী ফিফটি করে ‘এনার্জেটিক ব্যাটার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার পান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন কুমার দাস। পুরস্কারস্বরূপ ১ লাখ পাকিস্তানি রুপি পেয়েছেন তিনি।
পরবর্তীতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি ওই অর্থ বন্যার্তদের সহায়তায় দান করার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
লিটন লিখেছেন, ‘পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছি, সেখানে অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই জয়টাও ঠিকমতো উপভোগ করতে পারছি না, মনটা পড়ে আছে দেশে। আমি এই ম্যাচে এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ বন্যার্তদের জন্য দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
‘যারা দেশে আছেন, তারা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন। যত বিপদ, তত ঐক্য। বাংলাদেশ হারবে না।’
৪৭৭ দিন আগে