ক্রিকেট
যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তার বেশিরভাগই গুজব: তাসকিন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে টিম বাস মিস করার কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের বোলার তাসকিন আহমেদ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তাকে ম্যাচে না খেলানোর বিষয়টি জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেই ম্যাচে তাসকিনের বদলি হিসেবে জাকের আলীকে দলে নেওয়া হয়। জাকের তাসকিনের মতো পেস বোলার নয় কিন্তু ব্যাটিং লাইনকে শক্তিশালী করতে দলের আরও একজন ব্যাটার নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
তবে এই সপ্তাহের শুরুতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় তাসকিন টিম বাস মিস করেছেন। এই কারণেই তাকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে বাদ দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হলে বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে ফেসবুকে একটি পোস্টে বিষয়টি নিয়ে লেখেন তাসকিন আহমেদ।
তিনি লিখেছেন (মূল পোস্টের ভাষা অপরিবর্তিত), ‘আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।
প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।
দ্বিতীয়ত, ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা আমি পরিষ্কার করতে চাই।
আমি স্বীকার করি যে, আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতোমধ্যে পুরো দল ও ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।
আমি সকাল ৮টা ৩৭-এ উঠেছিলাম এবং ৮টা ৪৩-এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯টায় হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯টা ৪০-এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০টায়। আমরা সকাল ১০টা ১৫-তে জাতীয় সংগীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০টা ৩০-এ শুরু হয়েছিল।
এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে।
যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না উঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না।
তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।
ভবিষ্যতে, আমি আইনিভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব যাতে কেউ ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসেবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে।
আমার সকল ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।’
তবে এর আগে সাকিব আল হাসানের একটি বক্তব্য জানাচ্ছে ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ম্যাচের মাত্র ১০ মিনিট আগে ভেন্যুতে পৌঁছানোই তাসকিনকে একাদশের বাইরে রাখার কারণ বলে সাকিবের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে তিনটিতে, যা তাদের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে জয় পেলেই প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পা রাখতে পারত টাইগাররা। সেই পরাজয়ই আড়াল করে দিয়েছে এবারের বিশ্বকাপের অন্যসব অর্জন।
৫৩০ দিন আগে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারত দলকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না ঘূর্ণিঝড় বেরিল
এক দশকেরও বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঠল ভারতের হাতে। চতুর্থবারের মতো আইসিসি শিরোপা ঘরে তুলল তারা। এর আগে তারা দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।
২৯ জুন শিরোপা হাতে পেলেও এখনও দেশের মাটিতে পা রাখার সুযোগ মেলেনি রোহিত-কোহলিদের। তাদের ফেরার অপেক্ষায় কোটি কোটি ভারতবাসী কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বেরিলের কারণে বাড়ি ফেরা আটকে আছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ জয়ী ভারত ক্রিকেট দলের।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৪ আটলান্টিক মৌসুমের প্রথম বড় ঝড় হারিকেন বেরিল। এটি ঘনীভূত হয়ে ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার হারিকেনে পরিণত হয়েছে, যা বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়া আপডেটে জানা যায় এটি ঘণ্টায় ১৩০ মাইল বেগে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ৭০ জনের ভারতীয় দল, খেলোয়াড়, পরিবারের সদস্য এবং স্টাফরা বার্বাডোজ থেকে নিউ ইয়র্ক এবং তারপর সেখান থেকে নয়াদিল্লি ফেরার পরিকল্পনা করেছিল।
কিন্তু ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে এতজন একসঙ্গে নিয়ে আসার মতো বিমান নেই। বিসিসিআইকে ৭০ জন সদস্যকে বহন করতে পারে এমন বিমানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
১ জুলাই বিকাল পর্যন্ত এখনও স্পষ্ট নয় বিশ্বকাপজয়ীদের জন্য উপযুক্ত বিমান সংগ্রহ করে বার্বাডোজে কবে বা কখন পাঠাতে পারবে ভারত।
এদিকে, এই জয় যেন ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা- এমন খুশি নিয়ে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করছেন ভারতীয় সমর্থকরা।
এই জয়ের পর ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানান ভারতীয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রোহিত শর্মাও।
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
যদিও এটি বিরাটের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা, এর আগে ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন, এটি রোহিতের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। এই জয়টি রাহুল দ্রাবিড়ের জন্যও বিশেষ ছিল কেন না ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে এটা তার প্রথম বিশ্বকাপ এবং এই টুর্নামেন্ট দিয়েই শেষ হলো কোচিংয়ের মেয়াদ।
প্রথমবারের মতো আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নিশ্চিত করেছে ভারত। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বিরাট কোহলি ও জসপ্রীত বুমরাহ।
৫৩২ দিন আগে
হারের পর যা বললেন মার্করাম
প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের কোনো ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটিও দুর্দান্তভাবে। ফাইনালে খেলার আগে একটি ম্যাচও হারেনি তারা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তারা অবশেষে হেরে গেল।
বছরের পর বছর ধরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের এবারের পারফরম্যান্সে অনেকেই তাদের সাফল্য নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু চেষ্টা করেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি মার্করাম-ডি ককরা। তাই সমর্থকদের মতো হৃদয় ভেঙেছে তাদেরও।
ম্যাচ শেষে দলটির খেলোয়াড়দের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। কান্না চেপে রেখে মুখ লাল করে ফেলেছিলেন সবাই।
তবে খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, এক পক্ষকে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতেই হবে- এটাই তো নিয়ম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
ম্যাচ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সেকথা ঝরল প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামের কণ্ঠেও।
‘ক্ষণিকের জন্যে হলেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা কী দারুণ পারফর্ম করেছি, এ বিষয়টি অনুধাবন করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার (দলের) খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই গর্ববোধ করছি। (বোলাররা) ভালো বোলিং করেছে। এমনটি ভাবার সুযোগ নেই যে, এই পিচে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
‘বোলাররা (ভারতীয় ব্যাটারদের) ভালো রানের মধ্যেই আটকে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, এটি অতিক্রমযোগ্য লক্ষ্য। আমরা ভালো ব্যাটিংও করেছি। শেষের দিকে তো ম্যাচ একেবারেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। তবে দিনশেষে দারুণ ক্রিকেট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই হাল না ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছেন জানিয়ে মার্করাম বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে খেলে এসেছি। এভাবে এ পর্যায়ে এসে তাই নিজেদের (শিরোপার দাবিদার হিসেবে) অযোগ্য মনে হচ্ছে না। ম্যাচটি আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে ওঠেনি। তবে (ফলাফল) যাই হোক, দলকে নিয়ে আমি দারুণ গর্ববোধ করছি।’
ম্যাচ শেষে মার্করামকে জোর করে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ডেভিড মিলারের স্ত্রী এসে তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলটির খেলেয়াড়দের অনেককেই দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তাদের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ম্যাচটি তারা হেরে গেছে।
মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন সামান্য ব্যবধানের হার নিশ্চয় তাদের বেশ কিছুদিন ভোগাবে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৫৩৩ দিন আগে
কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ১৭ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার তার সুরে সুর বাঁধলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে তাকেও আর দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তবে টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটি আমারও শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ ছিল। বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না।’
‘টি-টোয়েন্টি দিয়েই ভারতের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আর এটিই চেয়েছিলাম আমি। (বিশ্ব) কাপ জিততে চেয়েছিলাম আমি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটি জিততে আমি একেবারে মরিয়া হয়ে ছিলাম। তাই এটি জেতার পর আমার অনুভূতি এখন কেমন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
২০০৭ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রোহিত, আর ক্যারিয়ার শেষ করলেন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৫৩৩ দিন আগে
বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
৫৩৩ দিন আগে
দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম আসরেই ফাইনালে ওঠে ভারত। সেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। এরপর আরও একবার ফাইনালে উঠলেও শ্রীলঙ্কা কাঁদায় তাদের। ১৭ বছর পর ফের ফাইনালে কাঁদল ভারত। তবে এবার আর হতাশা নয়, শিরোপা জয়ের আনন্দে কাঁদলেন রোহিত-হার্দিকরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসরে এসে অবশেষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এ সংস্করণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। ১৭ বছরের চেষ্টার পর একেবারে টি-টোয়েন্টির প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ইন্ডিয়া।
টস জিতে এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে খেলতে নেমে নাটকের পর নাটক, ম্যাচে একের পর এক পালাবদলের পর মাত্র ৭ রান বাকি থাকতে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
দুই দলই তুমূল লড়াইয়ের স্মরণীয় এক ফাইনাল উপহার দিল। তবে প্রথমবার কোনো বিশ্ব আসরের ফাইনালে উঠেও জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হলো আইডেন মার্করাম-ডেভিড মিলাররা। ফলে সামান্য ব্যবধানে হেরে আরও একবার হৃদয় ভাঙল প্রোটিয়াদের। আর প্রায় দেড় যুগের অপেক্ষা শেষে শিরোপা উঁচিয়ে ধরল ভারত।
প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাট হাতে হাইনরিখ ক্লাসেন করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। এছাড়া কুইন্টন ডি কক ৩৯ এবং ডেভিড মিলার ২১ রান করেন।
অন্যদিকে, বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যক্তিগত চার ওভারে ১৮ ও ২০ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন যথাক্রমে জসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৭৬ রানের পর এই দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে হারিয়েছে ভারত।
প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ বড় করে দেয়ায় ফাইনাল ম্যাচের রাজা বিরাট কোহলি। আর আসরজুড়ে বোলিংয়ে ঝলক দেখানো জসপ্রিত বুমরাহ হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা।
৫৩৪ দিন আগে
ডি ককের ব্যাটে ম্যাচে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা
মাত্র ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই যে চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
দলকে স্থিতিশীলতা এনে দিয়ে স্টাবস আউট হয়ে ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ডি কক ও হাইনরিখ ক্লাসেন।
শেষ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে তিন উইকেটে ৯৩ রান সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপ জিততে বাকি ৯ ওভারে তখন তাদের প্রয়োজন ৮৪ রান। প্রয়োজনীয় রান রেট ৯ দশমিক ৪।
২৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন ডি কক। অন্য প্রান্তে ১০ বলে ১৬ রান নিয়ে অপরাজিত ক্লাসেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
এর আগে, ১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
এরপর ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে মাচে ফিরতে শুরু করেন ডি কক। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটে ৪২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান স্টাবস। ৮.৫তম ওভারে অক্ষরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফেরার আগে একটি ছক্কা ও তিনটি চারের মারে ২১ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এর ফলে দলীয় ৭০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
৫৩৪ দিন আগে
ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ২২ রানে সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা।
কুইন্টন ডি কক ১০ বলে ১০ এবং ট্রিস্টান স্টাবস ৪ বলে ২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
৫৩৪ দিন আগে
ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে রানখরা গেলেও ফাইনালে ঠিকই জ্বলে উঠল বিরাট কোহলির ব্যাট। তার ব্যাটের হাসিতে শুরুতে উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো ভারত, আর প্রোটিয়াদের দিল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে ভারত।
এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন কোহলি। ৫৯ বলে এই রান করতে গিয়ে তিনি দুটি ছক্কা ও ছয়টি চার মারেন। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ এবং শেষের দিকে শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।
প্রথম ওভারে তিনটি চার মেরে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারে তা অব্যহত রাখেন রোহিতও। কিন্তু ওই ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান কেশব মহারাজ।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন রোহিত, কিন্তু চতুর্থ বলেই মহারাজের শর্ট লেঙ্থ ডেলিভারিটি সুইপ করতে গিয়ে ক্লাসেনের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
রোহিত সুইপ করলে বলটি প্রায় মাটি ছুঁয়েই যাচ্ছিল, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগে বাঁ দিকে খানিকটা ঝাঁপিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ফিল্ডিং করা ক্লাসেন।
এরপর, ক্রিজে এসে পঞ্চম ডেলিভারিটি দেখেশুনে খেলে পরের বলেই মহারাজের ঘুর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে টপ এজ হয়ে যান ঋষভ পান্ত। উইকেটের পেছন থেকে ডি কক সহজ ক্যাচ নিলে খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় ভারতীয় উইকেটরক্ষককে।
এর ফলে ২৩ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত। আর শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। এসময় সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন কোহলি।
তৃতীয় ওভারে রাবাদার শেষ ডেলিভারিতে ফের একটি ক্যাচ উঠেছিল, তবে ফাঁকায় পড়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান কোহলি।
এদিন এক-দুই রান বাঁচাতে ফিল্ডিংয়ের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর দলীয় পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে সূর্যকুমারকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে সেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে বলটি উড়িয়ে সীমানাছাড়া করার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার। কিন্তু মারে জোর না থাকায় ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকে।
তিনি ৪ বলে ৩ রান করে ফিরে গেলে ৩৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর তুরুপের তাস হিসেবে বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেন রোহিত।
অক্ষর-কোহলি জুটি অক্ষত রেখে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে ভারত। এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন অক্ষর। নিয়মিত বিরতিতে চার-ছক্কা বের করতে থাকেন তিনি। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় প্রথম দশ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। এরপর ১৩.১ ওভারে রাবাদাকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় শতরান পার করেন অক্ষর।
তবে এর দুই বল পরই দুঃখজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ফেরার আগে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে ৩১ বলে ৪৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান তিনি। এই রান সংগ্রহ করতে তিনে মারেন চারটি ছক্কা ও একটি চারের মার।
আরও পড়ুন: ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
পরবর্তী ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে কোহলিকে তাল দিতে থাকেন শিবম দুবে। এর মাঝে ৪৮ বলে চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ৫৯ বলে ৭৬ রান করে ফেরেন কোহলি। এরপর ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফিরে যান শিবমও (২৭), আর নর্টকিয়ার শেষ বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে জাদেজাকে থামান মহারাজ। ফলে আট উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা ছুঁতে হলে এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে প্রোটিয়া ব্যাটারদের।
৫৩৪ দিন আগে
ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে মাঠে নেমেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত শর্মা।
১৮ বছর আগে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বসেরার প্রতিযোগিতা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শিরোপা অধরাই রয়ে গেছে ভারতের। এর আগে দুবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের।
অন্যদিকে, ক্রিকেটের সব সংস্করণ মিলিয়ে বিশ্ব আসরে বারবার সেমিফাইনাল খেললেও এই প্রথমবার কোনো ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ‘চোকার’ থেকে ‘উইনার’ হতে সব রকম চেষ্টাই করবে আইডেন মার্করামের দল।
আরও পড়ুন: ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
টস জিতে রোহিত বলেন, ‘আগে ব্যাট করতে চাই। এখানে আগে একটি ম্যাচ খেলেছি। পিচ ভালোই। সেদিন রানও পেয়েছিলাম।
‘ফাইনালের চাপ বুঝতে পারছি। তবে আমরা মাথা ঠান্ডা রাখতে চাই। একটি সাধারণ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মতো করেই আজকের ম্যাচটিকে দেখতে চাই।’
‘দক্ষিণ আফ্রিকা (টুর্নামেন্টজুড়ে) অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খেলোয়াড় (দলের) হাল ধরেছে। আজকেও সেরকম কিছু প্রত্যাশা করছি।’
সেমিফাইনালের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই ভারত মাঠে নামছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, মার্করাম বলেন, ‘(টস জিতলে) আমরাও আগে ব্যাট করতাম। তবে যাইহোক, শুরুতে বোলিং করছি, নতুন উইকেটের সুবিধা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
‘কিছু কিছু সময় আমরা ভালো খেলিনি, তারপরও ম্যাচ বের করেছি। সেই আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। পারফেক্ট হওয়া তো সম্ভব নয়, তবে আমাদের তার যতটা কাছাকাছি পারা যায়, যাওয়ার চেষ্টা থাকবে।’
‘ফাইনালের উত্তেজনা অনুভব করলেও চাপ একেবারেই নিচ্ছি না। এটাই (বিশ্বকাপে) আমাদের প্রথম ফাইনাল। তাই খেলা উপভোগ করব।’
দক্ষিণ আফ্রিকাও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বলে জানান তিনি।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রিজা হেন্ড্রিক্স, আইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, হাইনরিখ ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া ও তাবরাইজ শামসি।
৫৩৪ দিন আগে