আইনশৃঙ্খলা
কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার
বরগুনার কলেজছাত্র অনিক হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর গ্রেপ্তার হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সালাউদ্দিন গাজী। শুক্রবার (২৩ মে) রাতে তালতলী উপজেলার ফকিরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সালাউদ্দিন গাজী বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের আবদুস সত্তার গাজীর ছেলে। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট অনিক হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার আগেই তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানেই আত্মগোপনে ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বরগুনা শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কে চেতনানাশক মিশ্রিত কোমল পানীয় খাইয়ে অনিককে অচেতন করে ডিশ লাইনের তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। ঘটনার ১৮ দিন পর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে অনিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অর্থ আত্মসাত ও ভিডিও ফাঁসের অভিযোগ
এ বিষয়ে অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার পর বহু বছর অপেক্ষা করেছি। আজ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। শান্তি পাব তখনই, যখন মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর হবে।’
স্থানীয়দের মতে, অনিক হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার বিচার সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হলে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে বরগুনা সদর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকা সালাউদ্দিন সম্প্রতি দেশে ফিরে আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে ফকিরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজই তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
২০৫ দিন আগে
ছিনতাইয়ের শিকার আন্তর্জাতিক ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার হৃদয়
রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রগ্রাহক (ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুন হৃদয়।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে কেরাণীগঞ্জ থেকে ফেরার পথে বুড়িগঙ্গা সেতু-৩ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তার কাছে থাকা ২টি ক্যামেরা, ২টি মোবাইলসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরে তিনি কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুড়িগঙ্গা সেতু-৩ এলাকা সংলগ্ন পথটি দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইপ্রবণ। এ জায়গায় দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ছিনতাইয়ের শিকার মুন হৃদয় বলেন, সকালে আমরা কেরাণীগঞ্জে একটি কাজে গিয়েছিলাম। কাজ শেষে কেরাণীগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা সেতু-৩ দিয়ে ফেরার সময় হঠাৎ একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন আমাদের সামনে এসে থামে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজন আমার পেটে চাইনিজ কুড়াল ঠেকিয়ে বলে—তোর কাছে যা আছে, সব দে।
তিনি আরও বলেন, আমার মালামাল ও সহকর্মী ইমরানের ক্যামেরাটিও নিয়ে যায় তারা। সবমিলিয়ে আমাদের তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তারা আমাদের একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
মুন হৃদয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার। তার তোলা ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সিয়েনা পুরষ্কার ও জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) সিল্ক রোড প্রতিযোগিতায় সম্মাননা পেয়েছেন।
২০৬ দিন আগে
বান্দরবানে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৮
বান্দরবানের লামা উপজেলার লাইনঝিরি এলাকায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির ডিপো অফিস থেকে লুট হওয়া ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ৫২ লাখ ৫৭ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩টি দেশীয় বন্দুক, ৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার(২৩ মে) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওসার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শহীদুল্লাহ কাওসার বলেন, গত ৯ মে রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল লামা পৌরসভার লাইন ঝিরি এলাকার আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির ডিপো অফিসে কর্মচারীদের ভয় দেখিয়ে নগদ ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় লামা থানায় মামলা হলে পুলিশ প্রথমে সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে আরও ৬ জনকে আটক করা হয়। আটকদের সঙ্গে নিয়ে লামা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ৪টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ৫২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এই ঘটনার মূল হোতা আব্দুল করিম ঘটনার ৭ দিন আগে বান্দরবান কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০৬ দিন আগে
পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর, তদন্তকারী কর্মকর্তারা
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সরাসরি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
মামলার তদন্ত বা বিচারের যেকোনো পর্যায়ে অভিযুক্তকে পরোয়ানা ছাড়াই সরাসরি গ্রেপ্তারের এই ক্ষমতা দিয়ে ২০১০ সালের ট্রাইব্যুনালের কার্যপ্রণালী বিধিমালায় সংশোধন করা হয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংশোধিত এই কার্যপ্রণালী বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য এম মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও মো. শফিউল আলম মাহমুদের আদেশক্রমে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
২০১০ সালের কার্যপ্রণালী বিধিমালার ২৪টি বিধিতে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বিধি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত এবং বাকি ১৯টি আংশিক বা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে নতুন বিধি দ্বারা সেগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিধি ৬। ২০১০ সালের বিধি বিলুপ্ত করে প্রতিস্থাপন করা বিধি ৬-এ বলা হয়েছে, ‘যদি তদন্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাহলে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যাবেন, মামলার তথ্য ও পরিস্থিতি তদন্ত করবেন এবং অভিযুক্ত সন্দেহভাজন বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করতে পারবেন।’
এই বিধিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গ্রেপ্তার, আবিষ্কার এবং জব্দ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তাও চাইতে পারেন তদন্ত কর্মকর্তা।’
এ ছাড়া, আগের কার্যপ্রণালীর ৯(১) বিধি বিলুপ্ত করে তা নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি নজরুলকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন
সংশোধিত ৯(১) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা তদন্তকারী কর্মকর্তা অথবা আইনের ৮(২) ধারার অধীনে তদন্তকারী প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবেন।’
সংশোধিত বিধির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আগের বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত বা সন্দেভাজন ব্যক্তিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেপ্তার করতে পারতেন না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হতো। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন মঞ্জুর করে পরোয়ানা জারি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গ্রেপ্তার করতে হতো।’
তিনি জানান, এখন ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেভাজন অভিযুক্তকে তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেপ্তার করতে পারবেন। পাশাপাশি পরোয়ানাভুক্ত অসামিকে এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তদন্ত-সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটররাও গ্রেপ্তার করতে পারবেন।
এ ছাড়াও, সংশোধিত বিধিতে ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনকেও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে চিফ প্রসিকিউটরকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সুলতান মাহমুদ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কার্যপ্রণালী বিধি-২০১০ (সংশোধিত) অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০৬ দিন আগে
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় বিএসআরএফের নিন্দা
পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে রাতের আঁধারে অতর্কিতভাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) দুর্বৃত্ত জাকির গংদের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক বিবৃতিতে বিএসআরএফ’র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক বলেন, এমন ন্যক্কারজনক হামলা শুধু একটি প্রতিষ্ঠানে নয়, পুরো সাংবাদিক সমাজের ওপর হুমকি। হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বিএসআরএফ এ ঘটনায় আহতদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছে এবং ডিআরইউ নেতারা পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে।
বুধবার (২১ মে) আওয়ামী দোসর দুর্বৃত্ত জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হামলা চালায়। এতে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলার পর ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান টি স্টল নামে একটি দোকানের মালামালও তারা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ দোকানটি গায়েব করে দেয় জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা।
২০৭ দিন আগে
৯৯৯ এ আসা ৫৬.২৭ শতাংশ কলই অপ্রয়োজনীয়
বাংলাদেশ পুলিশের পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জরুরি হেল্পলাইন নম্বর। জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবার জন্য এটি নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। কিন্ত ৯৯৯ এ আসা ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ কলই অপ্রয়োজনীয়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এর দায়িত্বে থাকা পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি সেবা ৯৯৯ এ মোট ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলকারীকে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে। যা মোট কলের ৪৩ দশমকি ৭৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১ টি কল -ব্ল্যাংক কল, প্র্যাংক কল ও মিসড কল যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এতে বলা হয়, অপ্রয়োজনীয় ফোনকল ওয়েইটিং টাইম বাড়িয়ে দ্রুত সেবা নিতে বাঁধার সৃষ্টি করেছে। যা বিপদে পড়া কলারকে সেবা পেতে দেরী করাচ্ছে ও ৯৯৯-এর সেবাদানকারীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকলেও ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে এই আইনে অভিযোগ আনা হয়নি।
অভিযোগ না এনে ৯৯৯ সেবাদানকারীরা জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে যোগ করা হয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ৯৯৯-এ ক্রমেই অপ্রয়োজনীয় কলের সংখ্যা কমে আসছে। অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিশিষ্ট নাগরিক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
ডিজিএফআই’র সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শেখ মামুন খালেদসহ চারজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
অন্য নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন— ডিজিএফআই’র সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শেখ মামুন খালেদের স্ত্রী নিগার সুলতানা খালেদ, কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি. এম. জোবায়েরের ভায়রা ভাই খন্দকার আবুল কাইয়ুম।
শেখ মামুন খালেদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শেয়ার ব্যবসা, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তদন্তকালে জানা যায়, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগ করে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করা জরুরি।
আরও পড়ুন: ডিবির হারুনের ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীরসহ তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক ও খন্দকার আবুল কাইয়ুমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি. এম. জোবায়েরের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ, চাকরি প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তার নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে সম্পদ ক্রয় ও অর্থ পাচারের বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।
তদন্তে আরেও জানা যায়, আবু সাঈদ মো. মুস্তাক এবং খন্দকার আবুল কাইয়ুম নিজ উদ্যোগে ও বিভিন্ন উপায়ে টি. এম. জোবায়েরের অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করেছেন। তারাও দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
২০৭ দিন আগে
মানিকগঞ্জ আদালতে মমতাজকে ডিম নিক্ষেপ
মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক সংসদ সদস্য ও আলোচিত সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) শুনানি শেষে তাকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মমতাজের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
এর আগে, সকালে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানি শেষে সিংগাইর থানার হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর।
এ ছাড়া, হরিরামপুর থানার মারামারির মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আইভি আক্তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ‘২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ, ফের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
এ ছাড়া, তার নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মামলাটি করেছিলেন বলে জানান আবুল খায়ের।ওসি আরও বলেন, ‘আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় মানুষ মমতাজ বেগমকে কিছু ডিম নিক্ষেপ করেছেন। আমি সারাক্ষণ তার পাশেই ছিলাম, আমারও ডিম লেগেছে।’এর আগে, ঢাকায় বেশ কিছু থানায় হওয়া হত্যা মামলায় মমতাজ চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।
২০৭ দিন আগে
হাইকোর্টে রিট খারিজ: ইশরাক হোসেনের শপথে বাধা নেই
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ ঠেকাতে করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে মেয়র হিসেবে তার শপথগ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না।
বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২২ মে) এ আদেশ দেন।
গেল ১৪ মে এই রিট দায়ের করেছিলেন ঢাকার দক্ষিণ সিটির বাসিন্দা মামুনুর রশিদ। তিনি ইশরাকের শপথ স্থগিত এবং যিনি তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন সেই বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছিলেন।
এছাড়া, রিটে ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায়ের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২১ মে শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ ২২ মে আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) আদালত রিটটি খারিজ করে দেন।
শুনানিতে রিটকারী মামুনুর রশিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী আকবর আলী। ইশরাক হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী দল শুনানিতে অংশ নেয়। তারা আদালতের এই আদেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এখন আর ইশরাকের শপথ গ্রহণে কোনো আইনি বাধা নেই।’
প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার একটি নিম্ন আদালত ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফল বাতিল করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ, ফের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে ইশরাককে হারিয়ে বিজয়ী হন। তবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
রায়ের পর ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায়। পরে, ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারি করা হয়।
এদিকে, সম্প্রতি ইশরাকের সমর্থকেরা নগরভবন ও মৎস্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তারা দ্রুত তাকে দায়িত্বে বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
২০৭ দিন আগে
মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ, ফের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হিসেবে মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মমতাজ বেগমকে আদালতের আনা হয়।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মমতাজ চার দিনের রিমান্ডে
এ ছাড়া, তার নির্বাচনি এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলাটি করেছিলেন বলে জানান তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর ও ৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি হবে।
সিংগাইর থানার হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। আর হরিরামপুর থানার মারামারির মামলায় তাকে রিমান্ডে চাওয়া হয়েছে ৫ দিন।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পী মমতাজ গ্রেপ্তার
এর আগে, ঢাকায় বেশ কিছু থানায় হওয়া হত্যা মামলায় মমতাজ চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।
২০৭ দিন আগে