মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হলেও ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনার প্রায় ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী এখনও টিকা পায়নি। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ৪৪ হাজার ৫৯৮ জন এবং মাদরাসা ও কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের ১২ হাজার ৪২৯ শিক্ষার্থী টিকার বাইরে রয়ে গেছেন।
খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, খুলনায় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী রয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৩৫৯ জন। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৩৫৬ জন। মূলত স্কুল ও মাদরাসার ৭ম শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের এইচএসসি পরীক্ষার্থী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে খুলনা নগরী ও ১০ জানুয়ারি থেকে উপজেলা পর্যায়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগরীর দু’টি টিকা কেন্দ্রে এবং প্রত্যেক উপজেলায় একটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। এদিকে টিকার মজুদ পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে টিকার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা!
নগর স্বাস্থ্য ভবন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অপ্রশস্ত জায়গায় ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়াতে হচ্ছে। তীব্র রোদে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
নগরীর নিউজপ্রিন্ট মিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল বিশ্বাস বলেন, সকাল ১০টা থেকে রোদে দাঁড়িয়েছিলাম, এখন সিঁড়িতে দাঁড় করিয়েছে। কখন শেষ হয় জানি না।
ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র পার্থ কুমার শীল বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো। টিকার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা জানান, কমবেশি সবাই দুই থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
টিকা কক্ষে উপস্থিত খানজাহান আলী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, আগে যে সব শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে বাদ পড়েছেন তাদের এখন টিকা দেয়া হচ্ছে। আজ থানার ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৭০ জনের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে। টিকা গ্রহণের জন্য স্কুল ভাগ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সব শিক্ষার্থী একই সময় চলে এসেছে। এজন্য ভিড় বেশি।
খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, নানা কারণে প্রথম দিকে টিকা দেয়ার হার কম ছিল, পরে বেড়েছে। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন। প্রতিদিনই টিকা কার্যক্রম চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ দেয়া শেষ হবে।