মেহেদী হাসান মিরাজ
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের বিকল্প কে?
দীর্ঘদিনের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই আগামী ৬ অক্টোবর থেকে টি-টোয়েন্টির লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ দল। সম্প্রতি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ক। তার এই ঘোষণা দলের ওপর ফেলেছে বাড়তি চাপ, রেখে গেছে কঠিন এক প্রশ্ন- টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কে হবেন সাকিবের বিকল্প?
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার কথা ছিল সাকিবের। তবে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সবাইকে চমকে দিয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব।
পরে তার জায়গায় মেহেদী হাসান মিরাজকে দলে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এই ফরম্যাটে সাকিবের অভাব পূরণ করতে পারেন মিরাজ? সত্যিই কি সাকিবের বিকল্প হতে পারবেন তিনি?
সাকিব ১২৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে আড়াই হাজারের বেশি রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪৯টি। অন্যদিকে মেহেদি মাত্র ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে ২৪৮ রান এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪টি।
এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে সাকিবের তুলনা কেবল সাকিবই। মিরাজ সাকিবের মতো স্পিনিং অলরাউন্ডার হলেও সাকিবের জায়গায় পৌঁছানো মিরাজের পক্ষে সহজ হবে না।
সাকিব চলে যাওয়ায় যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তা মিরাজ মোকাবিলা করতে পারবেন বলে আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি মিরাজকে সাকিবের বিকল্প মানতে নারাজ।
শান্ত বলেন, ‘এখন মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন হবে। প্লেয়িং ইলেভেন সাজাতে কিছুটা চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। সাকিব ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ব্যালেন্স করতে পারত। আমরা মিরাজকে দলে এনেছি, আশা করছি সে দ্রুত এই ভূমিকায় মানিয়ে নেবে।
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও একই মনোভাব প্রকাশ করলেন। সাকিবের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
বিস্ময়করভাবে দুই দিন খেলে হেরে যাওয়া কানপুর টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে সাকিবের হঠাৎ অবসরের ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সাকিব আছেন ফর্মে, যে কারণে বিদেশে বিভিন্ন লিগগুলোতে খেলা সুযোগ মিলছে তার। বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে ভালো পারফর্ম করার মতো কাউকে খুঁজে পেলেও সাকিবের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে বেশ খানিকটা সময়ের জন্য দলকে অস্বস্তিতে ভোগাবে।
২ মাস আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের
প্রথমে তারা দক্ষতার সঙ্গে আফগানিস্তানকে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট করে। তারপর তারা ছয় উইকেট হাতে রেখে জয় ছিনিয়ে আনে। এভাবেই বাংলাদেশ তাদের আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযানে একটি দারুণ সূচনা করেছে।
ধর্মশালায় এই জয় দিয়ে বিশ্বকাপের ঠিক আগে দলকে ঘিরে থাকা বিতর্কগুলো উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ সবসময়ই এমন একটি সূচনা চেয়েছে, যা টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি চ্যালেঞ্জিং প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রমাণিত একটি দলের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটের জয়ের মাধ্যমে উড়ন্ত সূচনা করল বাংলাদেশ। ২০১১ সালের পর আবার উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ এটি।
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের আগের সিরিজে বাংলাদেশ বিতর্কের মুখে পড়েছিল।
তৎকালীন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিটনেস-সম্পর্কিত বিতর্কের মধ্যে সেই সিরিজে হঠাৎ অবসর ঘোষণা করেছিলেন, যার ফলে ঘরের মাঠে সিরিজ হারতে হয়েছিল টাইগারদের।
সুতরাং, আজকের ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে সেই স্মৃতি নিয়েই লড়াই করতে হয়েছিল। যদিও তারা বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি দারুণ রেকর্ড করেছে।
ক্রিকেটের সর্বশ্রেষ্ঠ মঞ্চে তাদের শেষ দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ বিজয়ী হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানে থামিয়ে দিল বাংলাদেশ
বোলাররাও দেখিয়েছে তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান প্রথম উইকেট জুটিতে ৪৭ রান সংগ্রহ করেন।
দশম ওভারের আগেই বল হাতে তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এরপর সাকিব ইব্রাহিমকে আউট করে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দেন।
১০০ রান করার আগেই আফগানিস্তান আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে।
তারপরে, বাংলাদেশের বোলাররা যা করেছে তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এর জেরে আফগানিস্তান ১৫৬ রানে তাদের সব উইকেট হারিয়ে ফেলে।
রহমানুল্লাহ ৪৭ রান করে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। তবে অন্যরা বাংলাদেশের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং আক্রমণে টিকে থাকতে পারেনি।
মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান তিনটি করে এবং শরিফুল ইসলাম দুটি উইকেট শিকার করেছেন।
এই ম্যাচে ব্যাট হাতেও নজর কেড়েছে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ও তৌহিদ হৃদয় দুজনেই এবার তাদের বিশ্বকাপ অভিষেক করেছেন। তারা দুটি করে ক্যাচ নিয়ে আফগানিস্তানকে স্বল্প রানে অলআউট করতে টাইগারদের সহায়তা করেছেন।
১৫৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ সপ্তম ওভারে মাত্র ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায়।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: আফগানিস্তানের বিপক্ষে বল করছে বাংলাদেশ
লিটন দাস একটি কভার ড্রাইভ করার চেষ্টা করলে তানজিদ রানের জন্য রওনা হন। লিটন তানজিদকে তার ক্রিজে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন, তানজিদ তা মেনেও চলেন, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। রান আউট হন তিনি।
এর কিছুক্ষণ পরই ফিরে যান লিটন। আরেকবার তিনি বলটিকে কভার অঞ্চলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বলটি তার স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার আগে তার ব্যাটে ইনসাইড এডজ হয়।
তবে, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিরাজ একটি দুর্দান্ত জুটিতে ১২৯ বলে ৯৭ রান সংগ্রহ করেন। এই জুটিই কার্যত ম্যাচটিকে টাইগারদের পক্ষে নিয়ে যায়।
মিরাজকে তার সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে আনা হয়েছিল। এশিয়া কাপে প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
আফগানিস্তান কিছুটা লুজ ফিল্ডিং করেছে। তারা অন্তত মিরাজের দুটি ক্যাচ মিস করেছে। একটি পয়েন্টে নজিবুল্লাহ জাদরানের এবং আরেকটি মুজিব উর রহমানের বাউন্ডারি লাইনে।
এর মাশুল দিতে হয়েছে আফগান বাহিনীকে। এই দুই লাইফ পেয়ে মিরাজ ফিফটি করেছিলেন। বল হাতে তিন উইকেট শিকার এবং ব্যাট হাতে একটি ফিফটি করায় ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয় মিরাজকে।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্ট্যান্ডে তার সঙ্গী শান্তও একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং নাভিন-উল-হকের বলে পরপর দুটি চারে ম্যাচটি শেষ করেন।
৯২ বল বাকি থাকতে ৩৪ দশমিক ৪ ওভারে ১৫৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শান্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
আফগানিস্তানের মূল স্পিনার রশিদ খান প্রায়ই বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু আজ তিনি জ্বলে উঠতে পারেননি। তিনি ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি।
আগামী ১০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মূল ইভেন্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি বিঘ্নিত হারে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিশ্চিত জয়ের পর সেই ম্যাচটি তাদের পেছনে ফেলতে আগ্রহী হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ম্যাচ লাইভ
১ বছর আগে
মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারতকে ১ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১ উইকেটের কাঙ্খিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ও দৃঢ়তায় আর সাকিব আল হাসানের বোলিং এ ধরাশায়ী হয়েছে ভারত।
১৮৭ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩৬ রানেই ৯ম উইকেট হারায় টাইগাররা। তখনও প্রয়োজন ৫১ রান। উইকেটে তখন মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজকে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রেখে পারতপক্ষে সিঙ্গেল না নিয়ে মিরাজ আজ খেলেন এক অতিমানবীয় ইনিংস। আজকের ম্যাচের জয় স্বাগতিকদের সিরিজে এগিয়ে রাখবে।
২৭ বলের ব্যবধানে ১২৮ থেকে ১৩৬ পর্যন্ত রানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হতাশাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল। ৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের জন্য এই জয় তাই অপ্রত্যাশিত ছিল।
কিন্তু প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে স্বাগতিকদের স্মরণীয় জয়ে নেতৃত্ব দেন মিরাজ ও মুস্তাফিজুর।
মিরাজ ৩৯ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজও।
১৮৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৯৫ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে শুরুটা মন্থর করে। লিটন দাস টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৩ বলে ৪১ রান করেন, আর নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম বলেই আউট হন।
এরপর বিজয় ও অধিনায়ক লিটন ২৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
তবে বিজয় তার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি, অবশেষে ২৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন। ২৯ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের দ্বিতীয় শিকার সাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম টাইগারদের পথ দেখালেও ৬৯ বলে ৩৩ রান যোগ করতে সক্ষম হন তারা।
তাদের অতি-ধীরগতির ব্যাটিং বাংলাদেশকে বড় সমস্যায় ফেলেছিল। ৩৫ তম ওভারের শেষ বল এবং ৩৬ তম ওভারের প্রথম বলে এই অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার আউট হলে চাপ আরও বেড়ে যায়।
এরপর আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে একটা জুটির আশা করছিল সমর্থকেরা।
আফিফ হোসেন ৬ রানে অভিষেককারী কুলদীপ সেনের বলে আউট হয়ে গেলেও শেষ বিকালে ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখান মিরাজ।
তিনি সাহসিকতার সঙ্গে তার লক্ষ্যে অবিচল থাকেন এবং বলতে হবে ভাগ্য আজ তার সাহসের পক্ষে ছিল। কারণ ভারতীয় উইকেটরক্ষক যখন মেহেদীর একটি ক্যাচ মিস করেন, এটিই ছিল বাংলাদেশের জয়ের টার্নিং পয়েন্ট ।
মিরাজের এই লাইফের কল্যাণেই বাংলাদেশ আজ ৪৬ ওভারেই ১৮৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এবং অবশেষে এক উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায়।
১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। কুলদীপ ও ওয়াশিংটনও দারুণ বোলিং পারফরম্যান্স দেখান এবং প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে কারিশমা দেখায় তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে তার প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতীয় ব্যাটারদের কেউ লাইনের ভেতর থেকে সাকিবের মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করেন, কেউ লাইনের বাইরে চলে যান। কিন্তু সাকিবের দক্ষ বোলিং মোকাবিলা করা তাদের জন্য সহজ ছিল না।
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব তার প্রথম ওভারেই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং তাদের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নেন।
সাকিব আজ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপকে শাসন করেন এবং তার সপ্তম ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে ওডিআইতে ভারতের বিরুদ্ধে সেরা বাঁহাতি স্পিনারের পারফরমেন্সের রেকর্ড করেন।
এর মধ্যদিয়ে সাকিব সাবেক ইংলিশ স্পিনার অ্যাশলে গাইলসকে ছাড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং ইনিংসের রেকর্ড গড়েন।
২০০২ সালে দিল্লিতে ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন গাইলস।
সাকিব একটি সোজা ডেলিভারি দিয়ে রোহিতকে অবাক করে দিয়ে তার উইকেট তুলে নেন। ৩১ বলে ২৭ রান করে ফেরেন রোহিত। একই ওভারে সাকিবের আরেকটি বলে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত ওয়ানডে অধিনায়ক লিটন দাস তার ডানদিকে লাফিয়ে পড়ে বিরাট কোহলির উইকেট শিকারে সাহায্য করেন। এই অবিশ্বাস্য ক্যাচটি মিরপুরের দর্শকরা বহু বছর মনে রাখবে। বিরাট স্পষ্টতই লিটনের অসাধারণ ফিল্ডিং দক্ষতায় বিস্মিত হয়েছিলেন। অবশেষে ১৫ বলে ৯ রান করে ঘরে ফেরেন কোহলি।
ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন ৪৭ রানে ৪টি উইকেট নেন। যা তার সংক্ষিপ্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা।
বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে শুধুমাত্র লোকেশ রাহুল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তিনি ৭০ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রান করেন।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
২ বছর আগে
টি-টোয়েন্টি দলে মেহেদী-তাসকিন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ডমিনিকাতে ২ ও ৩ জুলাই সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ৭ জুলাই গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন শহিদুল ইসলাম। এছাড়া পিঠে চোট পাওয়ায় অ্যান্টিগা থেকে দেশে ফিরেছেন ইয়াসির আলি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় দলের বাইরে রাখা হয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত সাকিব
টেস্টে ক্যারিবীয়দের কাছে ১০ উইকেটে হার বাংলাদেশের
২ বছর আগে
বিপিএল ২০২২: প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারাল বরিশাল
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে চার উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল।
টস জিতে ব্যাট প্রথমে ব্যাট করে চট্টগ্রাম নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৫ রান করে। জবাবে ১৮ দশমিক ৪ ওভারে ছয় উইকেটে হারিয়ে জয়ের জন্য নির্দিষ্ট রান করে ফেলে বরিশাল।
ম্যাচের শেষের দিকে জিয়াউর রহমান ১২ বলে ১৯ রান করে বরিশালের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
চট্টগ্রামের হয়ে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে চার উইকেট নিলেও তার দল জয় পায়নি।
এর আগে বরিশালের হয়ে আলজারি জোসেফ তিনটি ও নাঈম হাসান দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ: কানাডার বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়
চট্টগ্রামে শুরুটা হয়েছে ব্যাটারদের ব্যর্থতা দিয়ে। তাদের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র একজনই দুই অংকের দেখা পেয়েছেন।
আফিফ হোসেন, সাব্বির রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ যথাক্রমে ৬, ৮ ও ৯ রান করেন।
শামীম হোসেন ১৪ এবং নাঈম ইসলাম ১৫ রান করেন। এক পর্যায়ে চট্টগ্রামের দলীয় স্কোর ১০০ রানের নীচে থাকবে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে শেষের দিকে বেনি হাওয়েলের ২০ বলে ৪১ রানে দলীয় স্কোর ১২৫ রান হয়।
দিনের অন্য ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খুলনা টাইগার্স মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: বিপিএলে একজন পেস-বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজে মাহমুদউল্লাহ
আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা দলে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
২ বছর আগে
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে মেহেদী মিরাজ
আইসিসির সর্বশেষ ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজ শুরুর আগে মেহেদী পাঁচ নাম্বারে ছিলেন। প্রথম ম্যাচে চার এবং দ্বিতীয় ম্যাচে তিন উইকেট পেয়ে মিরাজ এখন ক্যারিয়ার সেরা দুই নাম্বারে অবস্থান করছেন।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডেতে প্রথম দুই ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়ে এই র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বরে আছেন বাহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানে জিতল টাইগাররা
২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব আল হাসান ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন। পরের বছর একই ফরম্যাটে আব্দুর রাজ্জাক শীর্ষ দুইয়ে উঠেছিলেন।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৮৪ এবং ১২৫ রান করে মুশফিক ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে উঠেছেন। ৭৩৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪ নম্বরে অবস্থান মুশফিকের। ৫৪ এবং ৪১ করে এই ফরম্যাটে ৩৮তম অবস্থানে আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
৩ বছর আগে
মনে হচ্ছিল জেলখানায় আছি: মিরাজ
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে রুম কোয়ারেন্টাইন তার কাছে জেলখানায় থাকার মতো মনে হয়েছে।
৩ বছর আগে
পারলেন না মিরাজ, ঢাকা টেস্টেও হার
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আবু জায়েদ রাহী যখন ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গ দিতে আসেন তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৪৩ রান। হার ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেখান থেকে জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন মিরাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না। জয়ের বন্দর থেকে ১৭ রান দূরে থেমে যেত হলো তাকে। আর সেই সাথে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ২-০-তে খোয়াতে হলো স্বাগতিকদের।
৩ বছর আগে
ঢাকা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে ১৫৪ রানে এগিয়ে উইন্ডিজ
মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৪ রানে এগিয়ে রয়েছে।
৩ বছর আগে
ঢাকা টেস্টে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন মিরাজ
ডানহাতি অফস্পিনার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে ১০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে ১০০ বা তারও বেশি উইকেট শিকারি চতুর্থ বোলার তিনি।
৩ বছর আগে