বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে পেরুর রাজধানী লিমায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে বাকি গোলটি করেন রিশার্লিসন। আর
স্বাগতিকদের হয়ে গোল দুটি করেন আন্দ্রে কারিয়ো ও রেনাতো তাপিয়া।
নেইমারের তিন গোলের দুটি আসে পেনাল্টি থেকে। এই ম্যাচে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি পিএসজির এই ফরোয়ার্ড দেশের
হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় পেলের পরে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছেন।
পেরুর হয়ে মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় গোল করে ব্রাজিল শিবিরে হতাশা বাড়ান আন্দ্রে কারিয়ো। দুই ম্যাচে এটি তার তৃতীয় গোল। তবে বেশি সময় লিড ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলকে সমতা এনে দেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার। অবশ্য ১৪ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন রবের্তো ফিরমিনো। কিন্তু তিনি তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
ডি-বক্সে নেইমারকে পেরুর মিডফিল্ডার ইয়োতুন জার্সি টেনে ধরে খেলতে বাধা দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
বিরতির পর আবারও এগিয়ে যায় পেরু। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন রেনাতো তাপিয়া। ২৫ মিটার দূরে থেকে সজোরে শট দিলে রদ্রিগো কাইয়োর পায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জালে জড়ায়।
অবশ্য এর পাঁচ মিনিট পরেই ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান এভারটন ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন। ৮৩তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে ফাউলের শিকার হন নেইমার। পেনাল্টি থেকে দেয়া গোলে এবার দলকে লিড এনে দেন নেইমার। অতিরিক্ত সময়ে এসে ৯৪ মিনিটে পেরুর জালে শেষ পেরেক ঢুকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নেইমার।
ব্রাজিলের হয়ে নেইমারের গোলে সংখ্যা ৬৪। এই ম্যাচেই তিনি টপকে যান রোনাল্ডোকে। রোনাল্ডোর গোল সংখ্যা ৬২। এখন ৭৭ গোল নিয়ে নেইমারের সামনে রয়েছেন কেবর কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে।