শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম ম্যাচের পুরোটা জুড়ে ছিল নাটকীয়তা। ঝড়ো ব্যাটিং, হ্যাট্রিক, অবিশ্বাস্য ক্যাচ, গ্যালারি ভর্তি দর্শক…একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বলতে যা বোঝায়, তার প্রায় সব উপাদানই ছিল আজকের প্রথম ম্যাচটিতে।
ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে ততই তা কখনও ঢাকার পাশে তো আবার কখনও রংপুরের পাশে হেলে পড়েছে। তবে শেষ হাসিটা হেসেছেন ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার দুই বিধ্বংসী ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও সুনীল নারাইন দ্রুত ফিরে গেলেও সাকিবের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং কাইরন পোলার্ড ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা।
চারটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২১ বলে চলতি আসরের দ্রুততম অর্ধশতক তুলে নেন ক্যারিবীয় পোলার্ড। তবে এর পর বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। ২৬ বলে ৬২ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
বড় রান তাড়া করতে নেমে ভালো সূচনা করেন রংপুরের ক্রিস গেইল। কয়েক বল দেখেশুনে খেলার পর ছক্কা মেরে আভাস দেন ঝড় তোলার। কিন্তু দু’বল পরেই লং অফে অবিশ্বাস্য ‘রিলে ক্যাচ’ নিয়ে এ ব্যাটিং দানবকে ফেরান ঢাকার দুই উইন্ডিজ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও কাইরান পোলার্ড।
রংপুরের আরেক ওপেনার মেহেদী মারুফও বেশিক্ষণ টিকতে না পারায় ম্যাচ ঝিমিয়ে যাওয়া পর্যায়ে পড়ে। তবে রাইলি রুশো ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ১২১ রানের জুটির কল্যাণে এক পর্যায়ে জয় দেখছিল রংপুর।
কিন্তু ঢাকা ডায়নামাইটসের আলিস আল ইসলামের দারুণ এক হ্যাটট্রিকে দল লড়াইয়ে ফেরে। তারপরও একটু একটু করে জয়ের বন্দরের দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখে রংপুরের। কিন্তু সেই আলিসের করা শেষে ওভারে আবারও হতাশায় নিমজ্জিত হয় রংপুর।
আগের ওভারে হ্যাট্রিক পাওয়া আলিসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে পরপর দু’টি চারের মার রংপুরকে জয়ের আশা জাগিয়েছিল। আর শেষে বলে তাদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। কিন্তু ১ রান নিতে সক্ষম হওয়া টেলেন্ডার শফিউল দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি।