সিলেটে বাংলাদেশ ফের তাদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোরের রেকর্ড ভেঙেছে। এদিন মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৭০-রানে ভর করে টাইগারেরা ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেছে।
দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ছিল মুশফিকের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
শেষবার সেঞ্চুরির পর, গত ১৭টি ইনিংসে তিনি সেঞ্চুরি পাননি।
আয়ারল্যান্ড মোট ৩৪৯ বা তার বেশি রান তাড়া করে কোনো ওডিআই জিততে পারেনি। যার ফলে একই ভেন্যুতে আগামী ২৩শে মার্চের শেষ ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের দুর্দান্ত সুযোগ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টস জিতে আয়ারল্যান্ড প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩১ বলে ২৩ রান করে রানআউট হয়ে গেলেও লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১০১ রানের জুটিতে হাল ধরেন। কার্টিস ক্যাম্পারের বলে আউট হওয়ার আগে লিটন দাস ৭১ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭০ রান করেন।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইলফলকে মুশফিক
শান্ত ৭৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর গ্রাহাম হিউমের বলে আউট হন।
সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয় বোলার হিউম ও মার্ক অ্যাডেয়ার আউট হওয়ার আগে যথাক্রমে ১৭ ও ৪৯ রান করেন।
তাওহিদ ৪৯ রানে আউট হওয়ার আগে দুর্দান্ত খেলছিলেন, ঠিক যেমন প্রথম ম্যাচে তিনি ৯২ রান করেছিলেন।
মুশফিকুর এবারের ইনিংস গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। মুশি মাত্র ৬০ বলে একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন, যার মধ্যে ১৪টি চার এবং ২টি ছক্কা ছিল।
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে সাকিবের আগের রেকর্ড ভেঙে, মুশফিকের ব্যক্তিগত ও দলীয় দ্রুততম ওডিআই সেঞ্চুরি এটি।
কার্টিস ক্যাম্পার ১০ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন, যেখানে মার্ক অ্যাডায়ার ৬০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন গ্রাহাম হিউম, তিনি ৫৮ রানে তিন উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারাল বাংলাদেশ