তিনি বলেন, কফি, কাজুবাদামসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদে ও প্রক্রিয়াজাতে কৃষক ও উদ্যোক্তাসহ যারা এগিয়ে আসবেন তাদেরকে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ, উৎপাদনে পরামর্শ, কারিগরি ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে।
নীলফামারীতে অবস্থিত ‘জ্যাকপট কাজুবাদাম ইন্ড্রাস্ট্রির’ প্রসেসিং ইউনিট-২ এর ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কাজুবাদাম অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে কাজুবাদাম চাষের ও উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কাজু বাদাম, কফি আবাদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বিদেশে রপ্তানিরও সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব ফসলের চাহিদা অনেক বেশি।’
এ সময় কৃষক ও শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে কাজুবাদাম, কফিসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
২০১৬ সালের জুন মাসে প্রধান উদ্যোক্তা ইবনুল আরিফুজ্জামান নীলফামারী জেলার স্টাফ কোয়ার্টার মোড়ে ‘জ্যাকপট কাসুনাট ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড’ নামে কাজু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে তুলেন। এতে সহ উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন রবিউল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম ও জনি সাহা। শুরুতে মাত্র ১৫ জন কর্মী নিয়ে শুরু হলেও এখন এ কারখানায় ৫০ জন কর্মী কাজ করেন যার ৪৯ জনই নারী কর্মী। বর্তমানে কারখানাটির মাসিক উৎপাদন ৪০০০ কেজি।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ, জ্যাকপট কাজুবাদাম ইন্ড্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান প্রামাণিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।