চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই তাপপ্রবাহ টানা পাঁচ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে।
বুধবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চুয়াডাঙ্গাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গত কয়েকদিন থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গত সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে দিনমজুররা। রাস্তাঘাটে, বাজারে লোকজনের চলাচল খুবই কম। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বৃদ্ধ রিকশাচালক সমীর আলী বলেন, 'কী আর বলব, এই রোদ-গরমে রোজা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বসেও থাকতে পারছি না। বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না।’
সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এখনো অব্যাহত। আগামী ৩দিন এই তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়বে। এ সময় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দুই-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।