আসন্ন বর্ষাকে সামনে রেখে পাখির জন্য নিরাপদ আবাস গড়ার লক্ষ্যে চুয়েট বার্ড ক্লাবের উদ্যোগে মঙ্গলবার ১০টি স্পটে স্থাপিত হয়েছে এসব হাঁড়িবাসা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়েট বার্ড ক্লাবের আহ্বায়ক ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব এম.এ. ফাহাদ, চুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আমীন মো. মুসা, চুয়েট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আল হান্নান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ মার্চ প্রথমে প্রধান লেক, নতুন প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন ১০টি এলাকার দেশীয় প্রজাতির গাছে হাঁড়ি বসানো হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে আরও ৪০টি স্পটে হাঁড়িবাসা বসানো হয়। এসব হাঁড়ি অর্ডার দিয়ে রাঙ্গুনিয়া থেকে বানিয়ে গাড়িযোগে আনা হয়। এমনভাবে বানানো হয় যাতে বৃষ্টির পানি না জমে, ভালো অক্সিজেন চলাচল করে। প্রতি হাঁড়িতে তিনটি করে ফুটো রাখা হয়েছে। এরপর দক্ষ লোকজনকে দিয়ে তা গাছের উপরিভাগে বা মাঝামাঝিতে বসিয়ে দেয়া হয়। ভালোভাবে আটকে দেয়া হয় যাতে ঝড়-বৃষ্টিতেও ক্ষতি না হয়।
এ সম্পর্কে চুয়েট বার্ড ক্লাবের আহ্বায়ক ও সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘চুয়েট ক্যাম্পাস পাহাড়ি সবুজ বনানী এবং চিরায়ত গ্রামের মাঝে সেতুবন্ধনের জায়গায় অবস্থিত। বসতবাড়ির আশপাশে এক ধরনের পাখি বেশি থাকে। আবার পাহাড়ি বনেও কিছু পাখির স্থায়ী বসবাস। আর দুটো পরিবেশই চুয়েটে পাওয়া যায়। কারণ চুয়েটের আগে সবুজ গ্রাম, চুয়েটের পরে সবুজ বন। আর এই মনোরম প্রাকৃতিক অবস্থানে চিরসবুজ চুয়েট ক্যাম্পাসকে আমরা আরও বেশি পাখি বান্ধব করতে চাই। আমরা এজন্য প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক দুটো উপায়েই অগ্রসর হচ্ছি। সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও আগ্রহ দেখে উৎসাহিত বোধ করছি।’