ঠাকুরগাঁওয়ে পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষে সাফল্য পেয়েছেন নন্দি কুমার বর্মন। পৌর শহরের জমিদারপাড়ায় বাড়ির সামনের ফাঁকা জমিতে তিনি বিভিন্ন সবজি চাষ করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার সবজি বাগানে উৎপাদিত শাক-সবজি নিজের পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের মানুষজনকে দিয়েছেন। এছাড়াও বাড়তি সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার খবরও জানান তিনি।
পৌর শহরের জমিদারপাড়া সার্প অফিসের সামনে ফাঁকা প্রায় ৮৫ শতক পতিত জমিতে তিনি সবজি চাষ করছেন। সবজি ক্ষেতে পানি দিতে ও বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সবজি ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাকে। সেখানে তিনি লাল শাক, পালং শাক, নাপা শাক, বিভিন্ন ধরনের ঘাস, শসা চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে লাল শাক, পালং শাক বেশ কয়েকবার তুলে নিজে খেয়েছেন, আশেপাশের মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলিয়েছেন এবং বাজারে বিক্রিও করেছেন।
আরও পড়ুন: রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান
নন্দি কুমার বর্মন বলেন, জমিদারপাড়ায় প্রায় ৩ বিঘা (১৫০ শতক) জমি মরহুম তাহের জামাল চৌধুরীর। এখানে একটি বেসরকারি সংস্থাকে ( সার্প) কিছু জমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে ছিল। এই ফাঁকা জমিতে নন্দি কুমার লালশাক, পালং, নাপা শাক, শসাসহ বিভিন্ন জাতের ঘাষ চাষ করেন। নিজে খেয়ে, মানুষজনকে বিলিয়ে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার নাঈম মিনহাজ কৌশিক বলেন, নন্দি কুমার বর্মনের পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নন্দি কুমার বর্মনের পতিত জমিতে সবজি চাষের বিষয়টি যুগোপযোগী। তিনি চাইলে যে কোনো ধরনের পরমর্শ ও সুবিধা কৃষি বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে। চলতি শীতকালীন মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের শাক সবজি বাজারে রয়েছে; আরও কিছু সবজি আবাদ চলমান রয়েছে। এ বছরও সবজির ভাল ফলন হয়েছে ও কৃষকও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী