বায়ু দূষণ এখনও বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। মঙ্গলবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে রাজধানী স্কোর ১৬৭ নিয়ে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে। ভারতের দিল্লি, ভিয়েতনামের হ্যানয় ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে একিউআই ৩০৯, ১৮৫ ও ১৮৫ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বাতাসের একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খারাপ’ বলা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়; যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার 'অস্বাস্থ্যকর' বাতাসের মানে উন্নতি নেই
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়