বাংলাদেশ বর্তমানে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি প্রাথমিকভাবে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বরিশাল এবং ভোলাসহ উত্তরাঞ্চলকে প্রভাবিত করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই শীতের প্রভাব বিশেষভাবে দিনমজুর, শিশু ও বয়স্কদের ওপর পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে সারাদেশে তাপমাত্রার তারতম্য তুলে ধরা হয়েছে, বরিশালে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আর টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার মানদণ্ড অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে ধরা হয়। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও বৃদ্ধি পায়।
এই আবহাওয়ার ধরণটি মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাও বয়ে নিয়ে আসে, বিশেষত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং কিছু অঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, কোথাও কোথাও আকাশ আংশিক অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রায় সামান্য বৃদ্ধি প্রত্যাশিত, যদিও অনেক অঞ্চলে দিনে ঠান্ডা আবহাওয়া অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এই শৈত্যপ্রবাহে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাসিন্দারা হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মুখোমুখি হয়েছে। এটি সাধারণ জীবনযাত্রাকেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করেছে। হাড় কাঁপানো শীত থেকে জনগণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।